জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধ বন্ধের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন নেতানিয়াহু

জিম্মি মুক্তির বিনিময়ে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের যে দাবি জানিয়েছে হামাস, সেটি আরও তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। রোববার (৫ মে) তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি এখন যুদ্ধ বন্ধ করে দেয়, তাহলে হামাস গাজার ক্ষমতায় থেকে যাবে এবং তারা ইসরায়েলের জন্য হুমকি হয়েই থাকবে। খবর আনাদোলু।

নেতানিয়াহু

মিশরের রাজধানী কায়রোতে হামাস নেতারা রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জানা গেছে, হামাস নেতারা যে কোনো চুক্তির প্রারম্ভিক শর্ত হিসেবে গাজায় স্থায়ীভাবে যুদ্ধ শেষ করার দাবিতে অনঢ় থাকায় এখন পর্যন্ত আলোচনায় দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। আর এমন পরিস্থিতিতে ইসরায়েলি পক্ষ এখন পর্যন্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক ভিডিওতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, হামাসের হাতে থাকা জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে সাময়িক যুদ্ধবিরতি দিতে রাজি আছে ইসরায়েল। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল যখন যুদ্ধবিরতিতে আগ্রহ দেখাচ্ছে, তখন হামাস নিজেদের কট্টর অবস্থানে অনড় রয়েছে। তারা গাজা থেকে আমাদের সব সেনা প্রত্যাহারসহ যুদ্ধের অবসানের আহ্বান জানিয়েছে। এর মাধ্যমে হামাস ক্ষমতা নিজেদের হাতেই রাখতে চায়। কিন্তু আমরা তা মেনে নিতে পারি না।

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত গাজা

এদিকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার এক উপদেষ্টা বলেছেন, তারা সর্বশেষ প্রস্তাবটি আন্তরিকভাবে পর্যালোচনা করছেন। তবে যেকোনো চুক্তির ক্ষেত্রেই গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার এবং যুদ্ধ পুরোপুরি বন্ধের শর্তটি অন্তর্ভুক্ত থাকতে হবে বলে ফের দাবি জানান তিনি।

গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ঢুকে হামলা চালিয়ে ২৫২ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। এরপর গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতি ও ফিলিস্তিনিদের মুক্তির শর্তে শতাধিক জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়। এখন বাকি জিম্মিদের মুক্তর বিষয়ে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনা চলছে।