সাইফউদ্দিন: আমার জন্য পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই

প্রত্যাবর্তনের ম্যাচে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন। তাতে সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের উদ্ভাসিত জয়ের পথ সুগম হয়েছে। লম্বা বিরতির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে এমন পারফরম্যান্স অত্যাবশকীয় বলেই জানালেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন

পিঠের ব্যথায় দীর্ঘ ১৮ মাস জাতীয় দলের বাইরে ছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চলমান পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে সাইফউদ্দিন সবশেষ লাল সবুজের জার্সিতে খেলেছিলেন ২০২২ সালের নভম্বরে, নিউজিল্যান্ড সফরের, ত্রিদেশীয় সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে। চিকিৎসা ও পুনবার্সন প্রক্রিয়ার পর কিছুটা সেরে উঠলে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে ফেরেন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ক্রিকেটে।

তবে টিম ম্যানেজমেন্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এ বছরের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফরচুন বরিশালের জার্সিতে ব্যাটে-বলে পারফর্ম করে। মূলত সেই পারফরম্যান্সই তাকে জাতীয় দলে জায়গা করে দেয়। ফেরার ম্যাচে অবশ্য খুব একটা মন্দ করেননি চট্টগ্রাম বিভাগের এই ক্রিকেটার। শুক্রবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৫ রানের খরচায় তুলে নিয়েছেন তিন উইকেট, যা বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে জয়ের জ্বালানি যুগিয়েছে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে জানালেন, ১ জুন যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেতে তাকে এভাবেই পারফর্ম করে যেতে হবে। ‘যেহেতু ২০২৪ বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেতে চাই তাই আমার জন্য পারফরম্যান্সের বিকল্প নেই। এর আগে সম্ভবত ২০২২ বিশ্বকাপ দল থেকে আমি বাদ পড়ি পারফরম্যান্সের কারণে। এজন্য অনেক বেশি সিরিয়াস ছিলাম এবং চাচ্ছিলাম পারফর্ম করার।’

সাগরিকার পরিচিত কন্ডিশন তার এমন পারফরম্যান্সের পালে জোর হাওয়া লাগিয়েছে উল্লেখ করে সাইফউদ্দিন আরও বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমরা যখন বিপিএল খেলছি, এখানের কন্ডিশনটা জানি। চট্টগ্রাম বরাবরই আমার চেনা কন্ডিশন। এখানে আমি যুব পর্যায়ে খেলেছি, এই উইকেটে অনুশীলন করেছি। তাই এই উইকেট বুঝতে আমার সহজ হয়েছে।’

তবে ১৮ মাস বিরতির পর ফেরার ম্যাচে কিছুটা নার্ভাস ছিলেন বলেও স্বীকার করেন এই ডান হাতি, ‘আজকে আমি একটু নার্ভাস ছিলাম। আগে আন্তর্জাতিক ম্যাচে নার্ভাস ছিলাম না। আমার জন্য ভালো করাটা জরুরি কারণ দু ম্যাচ পর ফিজ (মোস্তাফিজুর রহমান) আসবে সেক্ষেত্রে সেরা একাদশে কি হবে না হবে তা বলা যায় না। তারপরও আমার জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। চেষ্টা করেছি ভালো করার। আর চারটা ম্যাচ সুযোগ আছে চেষ্টা করব যতটা পারা যায় ভালো করার।’

সাইফউদ্দিনের পাশাপাশি তাসকিন আহমেদও এদিন ৩ উইকেট শিকার করেন, তাতে ১২৪ রনে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। আর স্বাগতিকরা এই লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে স্রেফ ২ উইকেটের খরচায় ২৮ বল বাকি থাকতেই।