সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসরায়েল বিরোধী পোস্ট: গ্রেপ্তার হচ্ছেন সৌদিরা!

সৌদি আরব অনলাইনে গাজায় ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধের সমালোচনা করে মতামত প্রকাশকারী নাগরিকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এমনকি তাদের গ্রেপ্তারও করা হচ্ছে। ১ মে, বুধবার মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে এই দাবি করা হয়েছে।

সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনৈতিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে ব্লুমবার্গের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তার হওয়া নাগরিকদের মধ্যে একজন নির্বাহীও রয়েছেন যিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে অর্থনৈতিক প্রকল্প ভিশন ২০৩০ এর সঙ্গে জড়িত একটি কোম্পানির জন্য কাজ করেন।

এই বিষয়ে অবগত একটি সূত্র ব্লুমবার্গকে বলেছে, বর্তমান ইসরায়েল-গাজা সংঘর্ষের বিষয়ে জ্বালাময়ী পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

দ্বিতীয় বন্দী হলেন একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব। ব্লুমবার্গের প্রতিবেদন অনুসারে তিনি বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলকে কখনই ক্ষমা করা উচিত নয়।' 

এছাড়া গ্রেপ্তার হওয়া তৃতীয় ব্যক্তি সৌদি আরবে মার্কিন ফাস্ট ফুডের রেস্তোরাঁগুলো বয়কটের আহ্বান জানিয়েছিলেন। 

মিডল ইস্ট আই এই বিষয়ে মন্তব্যের জন্য সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে কিন্তু এই প্রতিবেদন প্রকাশের সময় পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া পায়নি।

২০২০ সালে মার্কিন মধ্যস্থতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তি স্বাক্ষর করে। তারপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র সৌদি আরবের সঙ্গেও একই ধরনের চুক্তি করতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

গত বছরের জানুয়ারিতে, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত প্রিন্স খালিদ বিন বান্দার জানিয়েছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি সম্পর্ক স্বাভাবিককরণ চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে তার দেশ। কিন্তু ৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর গাজা উপত্যকায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েল বাহিনী। এরপর মার্কিন মধ্যস্থতায় ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বভাবিক করার বিষয়ে আলোচনা থেমে যায়।   

এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি এবং ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত না হলে কোনো স্বাভাবিককরণ ঘটবে না।

তবে এই সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, স্বাভাবিককরণ চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য গত মাসে নতুন করে আলোচনা শুরু করেছে ওয়াশিংটন এবং রিয়াদ।  

সূত্র: মিডল ইস্ট আই