ব্যাটের পর মাইক্রোফোন হাতে ‘কোহলি ঝড়’

টি-টোয়েন্টি সংস্করণে মন্থর ব্যাটিংয়ের কারণে প্রায়ই সমালোচনার শিকার হন বিরাট কোহলি। চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) নিন্দুকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন ভারতীয় ব্যাটার। অবশেষে সমালোচকদের জবাব দিলেন কোহলি। সেটি ব্যাট এবং মাইক্রোফোন হাতে দুভাবেই।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জয়ের পর বিরাট কোহলির উদযাপন। ছবি: বিসিসিআই

গতকাল রোববার আগে ব্যাটিংয়ে নেমে কুড়ি ওভারে তিন উইকেটে বরাবর ২০০ রান করে গুজরাট টাইটান্স। উইল জ্যাকসের বিস্ফোরক সেঞ্চুরির ওপর দাঁড়িয়ে চার ওভার ও নয় উইকেট হাতে রেখে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু (২০৬/১)। অনুমিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন জ্যাকস। ৪১ বলের ইনিংসে পাঁচটি চার ও ১০টি ছক্কা হাঁকান তিনি।

ব্যাঙ্গালুরুর জয়ে পার্শ্বনায়ক কোহলি। রান তাড়ায় জ্যাকসকে যোগ্য সঙ্গটাই দিয়েছেন এই ওপেনার। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন মিলে গড়েন ১৬৬ রানের অপরাজিত জুটি। জুটিতে চালকের আসনে ছিলেন জ্যাকস। কম যাননি কোহলিও। ৪৪ বলে ৭০ রান করেন ব্যাঙ্গালুরুর ভারতীয় ওপেনার। স্ট্রাইক রেট ১৫৯.০৯। তার ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কার মার।

ব্যাট হাতে নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘঁষে দেওয়ার পর কোহলি মাইক্রোফোন হাতেও ঝড় তুলেছেন। সমালোচকদের ধুয়ে দিয়েছেন তিনি। অপরাজিত ইনিংস খেলার পর কোহলি বলেছেন, ‘লোকে আমাকে নিয়ে অনেক কথাই বলে। কেউ বলে আমি রান করতে পারি না। স্পিন বলে খেলতে পারি না।’

কোহলি যোগ করেন, ‘আমি ১৫ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছি। এখন আর এসব কথায় কান দিই না। আমি কেবল নিজের কাজটাই করে যাই। আমার নিজের সম্মান আছে। সেটা ধরে রেখে খেলতে চাই। আমি সমর্থকদের জন্য খেলতে চাই।’ অবশ্য বড় জয়ের পরও টুর্নামেন্টে খুব একটা সুবিধাজনক অবস্থায় নেই কোহলির ব্যাঙ্গালুরু।

১০ ম্যাচে তিন জয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে আছে আরসিবি। অবশ্য দল ব্যর্থ হলেও নিয়মিত রান পাচ্ছেন কোহলি। তারা বেশির ভাগ ম্যাচ হেরেছে বোলারদের লাগামছাড়া পারফরম্যান্সের কারণে। কার্যত কমলা টুপির মালিক কোহলি নিজেই। আসরে ১০ ম্যাচে তিনি ছুঁয়েছেন ৫০০ রানের মাইলফলক।

নিয়মিত রান পেলেও দলের দুর্দশা পোড়াচ্ছে কোহলিকে। তার ভাষায়, ‘এবারের আসরে আমরা দল হিসেবে খেলতে পারছি না। আমরা আরও ভালো খেলার সামর্থ্য রাখি। চেষ্টা করব সামনের ম্যাচগুলোতে আরও ভালো করার।’

জ্যাকসকে নিয়ে তার ভাষ্য, ‘ওর ইনিংসটা দুর্দান্ত। শুরুর দিকে ঠিক মতো ব্যাটে বল লাগছিল না। ও রেগে যাচ্ছিল। আমি ওকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দিই। আমরা জানি জ্যাকস কতটা আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে পারে। ও সেটাই দেখিয়েছে।’