সৌদি আলেমদের অভিমত: অনুমতি ছাড়া হজ করলে গোনাহ হবে

সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ এক সিদ্ধান্তে জানিয়েছে, হজ করার ক্ষেত্রে অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। হজের প্রক্রিয়া আরও গতিশীল করার পাশাপাশি পবিত্র স্থানগুলোর পবিত্রতা নিশ্চিতে শরিয়াহ আইনের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে গালফ নিউজ।

হজ সেবা দিচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ

এসপিএ জানায়, সৌদি আরবের সর্বোচ্চ ধর্মীয় সংস্থা ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ মূলত বিজ্ঞ আলেমদের নিয়ে গঠিত একটি সংস্থা। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় এবং দুই পবিত্র মসজিদের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিরা সার্বিক পরিস্থিতি জানিয়ে এ ব্যাপারে আলেমদের কাছে তাদের মতামত তুলে ধরেন।

পরে এ ব্যাপারে ‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’র আলেমরা তাদের সিদ্ধান্তে বলেন, হজ করতে হলে অবশ্যই আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। অনুমতি ছাড়া যারা হজ করতে যাবেন, তাদের হজ করার অনুমতি দেওয়া হবে না। এরপরও যদি তারা বিভিন্নভাবে হজ পালন করে ফেলেন, তাহলে তারা গোনাহগার হবেন।

হজ সেবা দিচ্ছে সৌদি কর্তৃপক্ষ

‘সিনিয়র কাউন্সিল অব উলামা’ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রতি বছর লাখ লাখ লোক হজ পালনে সৌদি আরব আসেন। এই লাখ লাখ লোকের হজ আয়োজনের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। এর মাধ্যমে তারা হজযাত্রীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, খাবার সরবরাহসহ অন্যান্য সেবা প্রদানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

হজের পুরো কার্যক্রমকে আরও সুচারুভাবে পালন করতে এখন হজযাত্রীদের অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। এর মাধ্যমে সৌদি সরকার হজযাত্রীদের সার্বিক তথ্য পায় এবং সে হিসেবেই ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া হজ করা অবৈধ। দেশটির নিজস্ব নাগরিকদের ক্ষেত্রেও একই বিষয় প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে কেউ যদি নিয়ম ভঙ্গ করে তাহলে তাকে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হবে। বাংলাদেশি টাকায় জরিমানার পরিমাণ প্রায় ১৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা।