জাতিসংঘ: গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতে লেগে যেতে পারে এক যুগেরও বেশি সময়

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় অবিস্ফোরিত অস্ত্রসহ বিপুল পরিমাণ ধ্বংসস্তূপ অপসারণ করতে এক যুগের বেশি সময় লেগে যেতে পারে। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) জেনেভায় আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের মাইন অ্যাকশন সার্ভিসের (ইউএনএমএএস) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পেহর লোধাম্মার এ কথা বলেন। খবর রয়টার্স।

পেহর লোধাম্মার

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল অব্যাহতভাবে হামলা চালিয়ে ২৩ লাখ মানুষের অধ্যুষিত গাজা উপত্যকাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। সেখানে পুরোপুরি অক্ষত কোনো অবকাঠামো নেই। হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর দাবি করলেও ইসরায়েলি হামলা থেকে রক্ষা পায়নি মসজিদ, গির্জা, স্কুল, হাসপাতাল কোনো কিছুই। প্রায় পুরো অবকাঠামো ধ্বংস করে ফেলায় পুরো গাজাবাসীই এখন উদ্বাস্তু জীবন যাপন করছে।

এমন অবস্থায় জেনেভায় ওই ব্রিফিংয়ে পেহর লোধাম্মার বলেছেন, যুদ্ধের ফলে গাজায় এখন প্রায় তিন কোটি ৭০ লাখ টন ধ্বংসাবশেষ পড়ে আছে। এছাড়া প্রায় সাত মাস ধরে চালানো বিমান ও স্থল হামলায় সেখানে অবিস্ফোরিত থেকে যাওয়া গোলাবারুদের পরিমাণও কম নয়। কিন্তু তার সঠিক ফিরিস্তি নেই কারো কাছে। তবে এসব গোলাবারুদের কারণে সতর্কতার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালাতে হবে।

গাজা এখন কেবল এক ধ্বংসস্তূপের নাম

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেছেন, সাধারণত যুদ্ধের ময়দানে স্থল বাহিনীর ছোড়া গোলাবারুদের অন্তত ১০ শতাংশ অবিস্ফোরিত অবস্থায় থেকে যায়। সেই হিসেবে গাজায় যে পরিমাণ অবিস্ফোরিত গোলাবারুদ রয়ে গেছে, তার পরিমাণ অনেক বেশি। সেক্ষেত্রে আমরা উদ্ধারকাজে ১০০টি ট্রাক ব্যবহার করলেও সব কিছু পরিচ্ছন্ন করতে ১৪ বছরের বিশ সময় লেগে যাবে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। প্রায় সাত মাস ধরে চলা এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। এ ছাড়া আহত হয়েছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি। জাতিসংঘ গত মাসের শেষ দিকে জানিয়েছিল, ইসরায়েলি হামলায় গাজার ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। অর্থের হিসেবে এতে প্রায় দুই হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি সাধিত হয়েছে।