পররাষ্ট্রমন্ত্রী: আফগানিস্তানে দায়েশ নেই, প্রতিবেশী তিন দেশ সমর্থন দিচ্ছে

আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বলেছেন, দেশটিতে দায়েশের কোনো অস্তিত্ব নেই। বরং তিনি অভিযোগ করেছেন যে, আফগানিস্তানের তিনটি প্রতিবেশী দেশ দায়েশকে সমর্থন-সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আমির খান মুত্তাকি আফগান-কাজাখ প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ মন্তব্য করেন।

ম্যাপে আফগানিস্তান

তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তানে দায়েশের কোনো নিরাপদ আশ্রয়স্থল নেই। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের তিনটি প্রতিবেশী দেশ তাদেরকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। এ তিনটি দেশের একটি আইএস বা দায়েশে জনশক্তি সরবরাহ করে। দ্বিতীয়টি দায়েশের এই ধ্বংসাত্মক পদ্ধতিতে সহায়তা করে এবং তৃতীয় দেশটি অর্থায়ন ও পরিকল্পনা সরবরাহ করে। এই তিনটি দেশ তাদের দায়িত্ব পালন করলে আফগানিস্তানসহ পুরো অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের কোনো সমস্যা থাকবে না।’

ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করেননি। তিনি তাদেরকে কেবল প্রতিবেশী দেশ হিসেবেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন।

আমির খান মুত্তাকি আরও বলেন, ইসলামি আমিরাত আফগানিস্তান বিশ্বের সঙ্গে তার সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য গত তিন বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ধীরে হলেও এতে সফলতা আসছে। কাবুল সম্প্রতি অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি), রাশিয়া, মালয়েশিয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং কাজাখস্তানের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের আতিথেয়তা দিয়েছে।

আফগান-কাজাখ প্রদর্শনীর উদ্বোধনের সময় তিনি ফিলিস্তিনের জনগণের প্রতি আফগানিস্তানের সমর্থন ঘোষণা করেন এবং গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অভিযুক্ত করেন।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন সময়ে ইসলামিক আমিরাতকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে। আমরা তাদেরকে বলি, ফিলিস্তিন ও গাজায় তোমরা যা করেছ তা একটু ভালো করে দেখ।

এ সময় আফগান প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সহকারী মৌলভি আব্দুল কবির বলেন, আলহামদুলিল্লাহ! আফগানিস্তানের সঙ্গে এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশ এবং তার প্রতিবেশীদের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক রয়েছে এবং এই সম্পর্ক মসৃণভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে।

ইসলামি আমিরাতের কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে ৩৮টি দেশে ইসলামি আমিরাতের কূটনৈতিক প্রতিনিধিত্ব সক্রিয় রয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবে তারা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।