অবশেষে হারের বৃত্ত ভাঙলেন কোহলিরা

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) চলতি মৌসুমে পুরোনো দুঃস্বপ্ন যেন নতুন করে ফিরে এসেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুতে (আরসিবি)। ২০১৭ সালে টানা ছয় ম্যাচ হেরেছে তারা। ২০১৮-১৯ মৌসুমে এক ম্যাচ বেশি। চলতি আসরেও টানা ছয় ম্যাচ হেরে কোণঠাসা হয়ে পড়েছিল ব্যাঙ্গালুরু। অবশেষে হারের বৃত্ত ভাঙলেন কোহলি-ডু প্লেসিরা।

টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ে ফিরল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ছবি: বিসিসিআই

বৃহস্পতিবার রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ৩৫ রানে হারিয়ে জয়ে ফিরেছে আরসিবি। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে সাত উইকেটে ২০৬ রানের পাহাড় গড়ে ব্যাঙ্গালুরু। জবাবে আট উইকেটে ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় হায়দরাবাদ। আসরে আট ম্যাচে এটা তাদের তৃতীয় হার। অন্যদিকে নবম ম্যাচে এসে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে আরসিবি।

ব্যাঙ্গালুরু দুশো ছাড়িয়েছে সম্মিলিত ব্যাটিং প্রচেষ্টায়। ফিফটি করেছেন বিরাট কোহলি ও রজত পাতিদার। অবদান রেখেছেন অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসি, ক্যামেরন গ্রিনও। ৪৩ বলে ৫১ রানে আউট হন কোহলি। ২০ বলে পাঁচ ছয় ও দুই চারে ৫০ রান করেন রজত। তিনিই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। এ ছাড়া ডু প্লেসি ১২ বলে ২৫, গ্রিন ২০ বলে ৩৭*, ডিনেশ কার্তিক ১১ ও সপ্নীল সিং ১২ রান করেন।

হায়দরাবাদের পক্ষে ৩০ রানে তিন উইকেট নেন জয়দেব উনাদকাট। ৩৯ রানে দুটি শিকার টি নাটারাজানের। শাহবাজ আহমেদ কোনো উইকেট না পেলেও বল হাতে মিতব্যয়ি ছিলেন তিনি। তিন ওভারে স্রেফ ১৪ রান দিয়েছেন শাহবাজ। তবু বড় সংগ্রহ পেয়েছে আরসিবি। আসরজুড়ে রানের ফোয়ারা ছোটানো হায়দরাবাদের জন্য এই রান তাড়া করা অবশ্য অসম্ভব ছিল না।

কিন্তু রান তাড়ায় শুরুর বিপর্যয়ে এলোমেলো হয়ে যায় অরেঞ্জ আর্মিদের ব্যাটিং লাইন। দলীয় ফিফটি পার হতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে হায়দরাবাদ। ৬৯ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন। একদিকে উইকেট ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ অন্যদিকে দ্রুত রান তোলার তাড়না। এই দুই চাপেই শেষ হয়ে গেছে হায়দরাবাদ। দলটির কেউ পাননি ফিফটির দেখা।

দলীয় সর্বোচ্চ ৩৭ বলে ৪০ রানে অপরাজিত থাকেন শাহবাজ। ওপেনার অভিষেক শর্মা ও অধিনায়ক প্যাট কামিন্স দুজনই সমান ৩১ রানে আউট হন। দুজনেরই স্ট্রাইক রেট ছিল দুশোর ওপরে। এ ছাড়া নিতিশ রেডি ও ভুবনেশ্বর কুমার দুজনই ১৩ বলে করেন সমান ১৩ রান। ব্যাঙ্গালুরুর পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন সপ্নীল, কর্র শর্মা ও গ্রিন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু: ২০৬/৭ (২০ ওভার)।
সানরাইজার্স হায়দরাবাদ: ১৭১/৮ (২০ ওভার)।
ফল: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু ৩৫ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: রজত পাতিদার (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু)।