হায়দরাবাদের গ্যালারিতে তাসকিনের নামে স্লোগান

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তার প্রথম ঝলক ভারতের বিপক্ষে। অভিষেক ওয়ানডেতেই গতির ঝড় তুলে মিরপুরে উপড়ে ফেলেন পাঁচ ভারতীয় ব্যাটসম্যানের উইকেট। ক্যারিয়ারের শুরুতেই তাই ভারতীয় দর্শকদের মনোযোগটা কাড়তে পেরেছিলেন তাসকিন আহমেদ। সেই মনোযোগ দেখা যাচ্ছে হায়দরাবাদে একটু বেশিই।

কাল থেকে হায়দরাবাদে শুরু হবে ভারতের মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট। তার আগে ভারতীয় ‘এ’ দলের বিপক্ষে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানে ছিলেন না তাসকিন। ফলে এখনকার তাসকিন কতোটা ভয়ংকর তা আন্দাজ করতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। তাসকিনের ভয়ংকর রূপটা তাদের দেখতে হবে মূল টেস্টেই। তাসকিনকে দেখার জন্য মুখিয়ে আছেন হায়দরাবাদের দর্শকরাও।

হায়দরাবাদের দর্শকরা তাসকিনকে কতোটা দেখতে চান, সেটার একটা ঝলক দেখা গেছে প্রস্তুতি ম্যাচের দ্বিতীয় দিন। এ দিন মাঠে বারকয়েক পানি- তোয়ালে নিয়ে গেছেন এই পেসার। প্রতিবার তার মাঠে ঢোকার সময়ে গ্যালারিতে স্লোগান উঠেছে— তাসকিন তাসকিন নামে!

তার গতির ঝড় যে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলের এই শহরেও পৌঁছে গেছে, তারই যেনো এক প্রমাণ এটা। হায়দরাবাদের দর্শকদের গতির ঝড়ে মুগ্ধ করতে তাসকিন নিজে কতোটা প্রস্তুত?

তাসকিনের প্রস্তুতি সম্পর্কে সবচেয়ে ভালো ধারণা থাকার কথা কোর্টনি ওয়ালশের। তাসকিনকে আরো পরিণত করার দায়িত্বটা তো আপাতত এই ক্যারিবীয় কিংবদন্তীর কাছেই। সেই তিনি তাসকিনকে দিয়েছেন দারুণ সার্টিফিকেট।

হায়দরাবাদ টেস্টের আগে তাসকিনের বিষয়ে ওয়ালশ বলেন, ‘নিজের দিনে তাসকিন হতে পারে যে কোনো অধিনায়কের স্বপ্নের এক বোলার। ও শক্তি ও প্রাণচাঞ্চল্যে ভরপুর এবং অবশ্য বিস্ফোরক গতির বোলার।’

ওয়ালশের এই মন্তব্যে তাসকিনের ভক্তরা যদি আবেগে ভেসে যান, তাহলে তারা ভুলই করবেন। কারণ ওয়ালশ বলে দিয়েছেন যে, এখানেই নয়, তাসকিন যাবেন আরো বহুদূর। ওয়ালশের সেই মন্তব্যটা হলো, ‘ওর মধ্যে শেখার দারুণ মানসিকতা আছে। এটা তাকে বহুদূর নিয়ে যাবে। ও যতো খেলবে, হয়ে উঠবে ততোই পরিণত আর ভয়ংকর।’

নিজের সময়ে ওয়ালশ ছিলেন পৃথিবীর সেরা পেসার। তাসকিনকে নিয়ে মন্তব্যটা মোটেই ফেলনা কিছু নয়। বরং অন্য যে কারো চেয়ে তাসকিনকে এখন তিনিই ভালো চিনেন। সুতরাং তার তাসকিন যদি নিজেকে ধরে রাখতে পারেন, পৃথিবীর যেনো স্টেডিয়ামেই হয়তো একদিন তার নামে স্লোগান উঠবে!