সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা: সমস্ত শক্তি দিয়ে লড়বেন নেতানিয়াহু!

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশের সেনাবাহিনীর ওপর কোনো ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলে, তা প্রত্যাখ্যান করা হবে। মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের একটি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে এমন আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর রয়টার্স।

নেতানিয়াহু

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাক্সিওস নিউজ ওয়েবসাইটের এক খবরে বলা হয়েছিল, অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) নেৎজা ইহুদা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ক এক নিয়মের আওতায় যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে পারে বলে জানানো হয়।

অ্যাক্সিওসের খবরে আরও বলা হয়, ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বেশ কিছু অভিযোগে আইডিএফের ওই ব্যাটালিয়নকে টার্গেট করে যুক্তরাষ্ট্র। ৮০ বছর বয়সী ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ওমর আসাদ হত্যাসহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অধিকৃত পশ্চিম তীরে তথাকথিত তল্লাশি অভিযানের সময় আসাদকে বেঁধে গলা চেপে ইসরায়েলি বাহিনী তাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

নেৎজা ব্যাটালিয়ন

এসব অভিযোগে নেৎজা ইহুদা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শনিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনও এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দেন।

তবে হাজারো অভিযোগ থাকার পরও যুক্তরাষ্ট্র এর আগে কখনো আইডিএফ কোনো ইউনিটের জন্য সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেনি। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য পদক্ষেপটিকে তাদের কাছে বেশ বড় বলেই মনে হচ্ছে। ফলে তারা এর প্রতিক্রিয়াও দেখাচ্ছে বড় আকারে।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলছে, আন্তর্জাতিক আইন মেনেই নেৎজা ইহুদা ব্যাটালিয়ন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারপরও তারা নিয়মের কোনো ব্যত্যয় ঘটালে এটি দেখার জন্য ইসরায়েলে যথাযথ কর্তৃপক্ষ রয়েছে, তারাই বিষয়টি দেখবে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ নিষেধাজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই করব।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্ববাসী আরও নিবিড়ভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের মধ্যকার সম্পর্ককে লক্ষ্য করছে। এমন পরিস্থিতিতে একটি ইউনিটের কাজের সমালোচনার প্রচেষ্টা পুরো সেনাবাহিনীর কার্যক্রমের ওপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। তাই এটি অংশীদার ও বন্ধুদের জন্য সঠিক পথ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।