ইসরায়েলি সেনা ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র! ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু

অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) নেৎজাহ ইহুদা ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে এ ঘোষণা আসতে পারে। অ্যাক্সিওস নিউজের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল, হারেৎজ ও আল জাজিরা।

নেৎজাহ ইহুদা

খবরে বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক কর্মকর্তা আইডিএফের নেৎজাহ ইহুদা ব্যাটালিয়নের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার প্রস্তুতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা। গত শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন এ ব্যাপারে কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এর মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কোনো ইউনিট যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে যাচ্ছে।

১৯৯৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে লেইহি আইন কার্যকর করা হয়। এ আইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত পুলিশ বা নিরাপত্তা বাহিনীর কোনো ইউনিটকে সামরিক সহায়তা না দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আইনটি কার্যকরের পর থেকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের নানা প্রান্তে নিরাপত্তা বাহিনীর শত শত ইউনিটের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেতানিয়াহু

তবে পরম মিত্র হিসেবে পরিচিত ইসরায়েলের ওপর এর আগে কখনোই যুক্তরাষ্ট্র এই আইনের প্রয়োগ করেনি। এ আইনটি প্রয়োগ হলে নেৎজাহ ইহুদা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের সহায়তা পাবে না। ব্যাটালিয়নটির সদস্যরা মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কোনো প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবেন না। এর পাশাপাশি মার্কিন সহায়তায় চলা যে কোনো ধরনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম থেকেও তাদের বিরত রাখা হবে।

এদিকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার খবরে চটেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তিনি লেখেন, আইডিএফের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া কোনোভাবেই উচিত হবে না। এ নিয়ে আমি আগেও মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলেছি।

এ বিষয়ে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সদস্য ও আইডিএফের সাবেক চিফ অব স্টাফ বেনি গ্যান্টজ বলেন, আমাদের একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা রয়েছে। আইডিএফের আচরণবিধি লঙ্ঘন নিয়ে কোনো অভিযোগ আসলে এই বিচারব্যবস্থার মাধ্যমে সতর্কতার সঙ্গে তা মূল্যায়ন করা হয়। ফলে এ নিয়ে অন্যদের চিন্তার কিছু নেই।

জানা গেছে, উগ্রবাদী-অবৈধ বসতিস্থাপনকারী যেসব ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অন্য কোনো ইউনিটে যোগ দেওয়ার সুযোগ পায় না তারাই নেৎজাহ ইহুদাতে যোগ দেয়। এ ব্যাটালিয়নটি পশ্চিম তীরেই মোতায়েন করা হয়েছিল। তবে নানা ধরনের অভিযোগ উঠার পর সেটিকে উত্তর ইসরায়েলে নিয়ে যাওয়া হয়। হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে এ ব্যাটালিয়নকে আবার গাজা উপত্যকায় মোতায়েন করা হয়।