দক্ষ অভিবাসী পেতে ভিসানীতি কঠোর করছে নিউজিল্যান্ড

এবার ভিসানীতি কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছে অভিবাসীবান্ধব দেশ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ড। দেশটি রবিবার জানিয়েছে, কর্মসংস্থান ভিসা প্রোগ্রামের নীতিমালায় পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। এতে যুক্ত হয়েছে ভাষা ও কাজের দক্ষতার শর্ত। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।

অভিবাসীবান্ধব দেশ হিসেবে পরিচিত নিউজিল্যান্ড

৫১ লাখ জনসংখ্যার দেশ নিউজিল্যান্ড। করোনা মহামারী পরবর্তী সময়ে দ্রুত ও বেশিসংখ্যায় অভিবাসী গ্রহণ করে দেশটি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৩ সালে কর্মী ভিসায় ১ লাখ ৭৩ হাজার বিদেশি দেশটিতে জায়গা পেয়েছেন।

বছর বছর বিশাল সংখ্যায় অভিবাসী গ্রহণ করলেও সম্প্রতি দেশটি একটি পর্যালোচনায় দেখেছে, অদক্ষ বা স্বল্প দক্ষ কর্মীর সংখ্যাই বেশি। তাতে জনসংখ্যার বোঝা ভারী হচ্ছে। তাছাড়া অতিরিক্ত ও কর্মহীন জনসংখ্যা মূল্যস্ফীতিকেও অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলছে।

এমন পরিস্থিতিতে কর্মী ভিসা হিসেবে পরিচিত ‘অ্যাক্রেডিটেড এমপ্লয়ার ওয়ার্কার ভিসা (এইডব্লিউভি)’ স্কিমে কিছু শর্তারোপ ঘোষণা করেছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।

নিউজিল্যান্ডের অভিবাসনমন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড রবিবার (৭ এপ্রিল) ঘোষণা করেন, নিউজিল্যান্ড কর্মসংস্থান ভিসায় নিয়ম কঠোর করেছে। ভাষা ও দক্ষতার মানদণ্ড প্রবর্তন করেছে। এছাড়ও ওয়ার্ক পারমিটের মেয়াদ কমিয়েছে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কর্মসংস্থান ভিসা প্রত্যাশীদের অবশ্যই ইংরেজি ভাষায় পারদর্শী হতে হবে। নির্দিষ্ট কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা থাকতে হবে। এখন থেকে দক্ষ কর্মীদেরই উৎসাহিত করবে দেশটি। এছাড়া কম দক্ষ কর্মীদের জন্য ভিসার মেয়াদ পাঁচ বছর থেকে কমিয়ে তিন বছর করা হয়েছে।

অভিবাসন মন্ত্রী উদাহরণ দিয়ে বলেন, সরকার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের মতো উচ্চ-দক্ষ অভিবাসীদের উৎসাহিত করছে এবং দক্ষ কর্মীদের ধরে রাখার দিকে মনোনিবেশ করছে।

নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে কর্মী ভিসায় অভিবাসীদের গ্রহণের আগে তাদের প্রয়োজনীয় শর্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিতে হবে।

অভিবাসনমন্ত্রী এরিকা স্ট্যানফোর্ড বলেন, নতুন নিয়ম এখন থেকেই কার্যকর। টেকসই অভিবাসন গড়তে এবং নিউজিল্যান্ডের লোকদের কর্মহীন হওয়ার ঝুঁকি কমাতেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়াও করোনাপরবর্তী সময়ে অভিবাসী গ্রহণের হার বাড়িয়েছিল। তবে দক্ষ কর্মী পেতে তারাও আগামী দুই বছরে অভিবাসী গ্রহণের পরিমাণ অর্ধেকে নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।