বাইডেনের ইফতার বর্জন করলেন মার্কিন মুসলিম নেতারা

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতি মার্কিন সমর্থনের কারণে মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজন নেতা হোয়াইট হাউসের ইফতার পার্টিতে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর ফলে ২ এপ্রিল, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একটি ছোট ইফতার আয়োজন করতে বাধ্য হয়েছে হোয়াইট হাউস। এতে বাইডেন প্রশাসনে কর্মরত মুসলিম কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেছেন।

জো বাইডেন

হোয়াইট হাউস প্রাথমিকভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে জাঁকজমকের সঙ্গে ইফতারের আয়োজন করতে চেয়েছিল। কিন্তু পরিবর্তে মুসলিম সরকারী কর্মচারীদের জন্য ছোটখাট এই আয়োজন করে।

এই বিষয়ে অবগত দুটি সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের সদস্যরা নেতাদের উপস্থিতির বিরুদ্ধে সতর্ক করার পরে অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়েছিল।

কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনস (সিএআইআর) এর ডেপুটি ডিরেক্টর এডওয়ার্ড আহমেদ মিচেল জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে হোয়াইট হাউসের জড়িত থাকার কারণে অনেক নেতা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অস্বীকার করেছিলেন।   

মিচেল আল জাজিরাকে বলেছেন, ‘আমেরিকান মুসলিম সম্প্রদায় বলেছিল, যে হোয়াইট হাউস ইসরায়েলি সরকারকে গাজার ফিলিস্তিনি জনগণকে অনাহারে রাখতে ও হত্যা করতে সহায়তা করছে সেখানে ইফতার করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।'    

ইফতার পার্টিতে উপস্থিতদের একজন ছিলেন ডা. থায়ের আহমদ। তিনি এই বছরের শুরুতে গাজার আল-নাসের হাসপাতালে তিন সপ্তাহ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ছিলেন। তিনি সিএনএনকে জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের ইফতার আয়োজনে তিনি গিয়েছিলেন। কিন্তু বেশিক্ষণ থাকেননি। ইফতার শেষ হওয়ার আগেই তিনি চলে এসেছিলেন। 

তিনি বলেছেন, ‘আমার সম্প্রদায়ের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যারা ভুক্তভোগী এবং যারা এই যুদ্ধে নিহত হয়েছেন তাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধার কারণে, আমাকে ইফতার পার্টি থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছে।' 

আহমেদ জানিয়েছেন, সেখানে তিনি একমাত্র ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ছিলেন। তিনি বলেছেন, তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এই বিষয়ে বেশি প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন এবং আমি চলে এসেছিলাম।   

ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধের বিষয়ে মার্কিন নীতি নিয়ে বাইডেন প্রশাসন মুসলিম, আরব এবং যুদ্ধবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টদের তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে। গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা এই যুদ্ধে ৩২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।

সূত্র: রয়টার্স