তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন সিসি

মিশরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তৃতীয় মেয়াদে শপথ নিয়েছেন আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দেশটির নতুন রাজধানীতে এই শপথ অনুষ্ঠান হয়। নতুন মেয়াদের মাধ্যমে দেশটির সাবেক এই সেনা প্রধান ২০৩০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। খবর রয়টার্স।

আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি

গত বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৮৯ দশমিক ৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেন সিসি। অবশ্য তাকে টেক্কা দেওয়ার মতো শক্তিশালী কোনো প্রার্থীই ছিলেন না প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। ফলে মিশরে গণতান্ত্রিকভাবে প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করা সিসি ফের দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

২০১৪ সালে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন সিসি। এরপর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে তিনি মিশরে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ড শুরু করেন। দেশটির নতুন প্রশাসনিক রাজধানী তৈরির কাজও হাতে নেন। দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন এবং বিপুল জনগণের থাকার জায়গা করতে এসব অবকাঠামো বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মত দেন তিনি।

মিশর

এরই ধারাবাহিকতায় রাজধানী কায়রোর পূর্ব দিকের মরুভূমিতে তৈরি করা হচ্ছে নতুন প্রশাসনিক রাজধানী। এতে খরচ হবে ৫৮ বিলিয়ন ডলার। এছাড়া সুয়েজ খালের পরিধি বৃদ্ধি করা, বিদ্যমান রাস্তাঘাট প্রশস্ত করা এবং নতুন নতুন শহর তৈরি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন তিনি। তবে সমালোচকরা বলছেন, নতুন রাজধানীর তৈরিসহ এসব মেগা প্রকল্পের কারণে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে মিশর। কারণ দেশের অধিকাংশ সম্পদ এখন সেখানেই ব্যয় করা হচ্ছে। ফলে কয়েক বছর ধরে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে আরব বিশ্বের আলোচিত এ দেশটি। বিশেষ করে দেশটিতে বিদেশি ঋণের বোঝা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।

এছাড়া সিসির বিরুদ্ধে বিরোধী দল ও মতের ওপর দমন-নিপীড়ন চালানোর প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে তার দলের লোকজনকে যে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, তার ধারা এখনও শেষ হয়নি। এমনকি মুরসিও কারাগারেই মৃত্যুবরণ করেন। সিসির দমন-পীড়ন নীতির জেরে দেশটিতে কার্যত তেমন কোনো শক্তিশালী বিরোধী দল বা নেতা আর অবশিষ্ট নেই।