কেন্দ্র থেকেই নিয়ন্ত্রিত হবে আঞ্চলিক ক্রিকেট

একমাত্র বরিশাল বিভাগ ছাড়া দেশের সব বিভাগেই আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছে বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড)। এটা পুরোনো খবর। নতুন খবর হলো, আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা গঠনের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে হলেও এর নিয়ন্ত্রণ থাকবে বিসিবির হাতেই। অর্থাৎ কেন্দ্র থেকেই বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের সকল ক্রিকেটীয় কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের লোগো

আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা বাস্তবায়নের পরীক্ষামূলক শিগগির কয়েকটি জেলাকে আপাতত ২০ লাখ করে টাকা করে দেওয়া হবে। যদি এর সুফল টাইগার ক্রিকেট প্রশাসন দেখতে পায় তবেই আগামীতে তা অব্যাহত থাকবে, অন্যথায় এই আর্থিক সহযোগিতা বন্ধ করে দেওয়া হবে। আর যেসব জেলায় নিয়মিত জেলা ক্রিকেট অনুষ্ঠিত হবে না তাদের কোন ধরনের সযোগিতা দেওয়া হবে না।

রোববার রাজধানীর স্থানীয় একটি হোটেলে বিসিবির এই মেয়াদের দ্বিতীয় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শেষে বিষয়টি বেশ কড়াভাবেই বলেছেন সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।

তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা কেন্দ্র (বিসিবির) হস্তক্ষেপ মুক্ত হবে না। আপনারা ভুল বুঝছেন, একদম ঠিক আমি বলে দিচ্ছি। এটা হবে না। যতদিন পর্যন্ত আমরা সন্তুষ্ট না হব যে তারা স্বাধীনভাবে চালাতে পারবে, ততদিন না।’

আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থা নিজ নিজ জেলার ক্রিকেট নিজেরাই পরিচালনা করবে। তাদের ভোটেই নির্বাচিত হবে বিভাগীয় ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। বিসিবির মতো তাদেরও আলাদা আলাদা উইং থাকবে। ঢাকায় বসে যেভাবে বিসিবি পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ঠিক সেভাবেই বিভাগে বসে পুরো জেলার ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ করবে বিভাগীয় ক্রিকেট সংস্থা। আর জেলা ক্রিকেট সংস্থাগুলোর বিভাগীয় অ্যাসোসিয়েশনের কাছে জবাবদিহি করবে। বিভাগীয় অ্যাসোসিয়েশনের জবাবদিহি করবে মূল বোর্ডের কাছে।

বরিশাল ছাড়া বাকি ছয় বিভাগের আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার কার্যক্রম চলছে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে। বরিশালের পরিচালক আলমগীর খান আলো অসুস্থ থাকায় এর কার্যক্রম এখনও শুরু করা যায়নি। ২০২২ সালের জুলাইয়ে বিসিবির সবশেষ এজিএমে আসে আঞ্চলিক ক্রিকেট সংস্থার ঘোষণা। যদিও এর কিছুই আজ অবধি দৃশ্যমান হয়নি। তবে এবারের এজিএমে অ্যাডহক কমিটিকে নির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি। ক্রিকেট সংস্থা আলাদা হলেও দিক নির্দেশনা আসবে বিসিবি থেকেই।

এর কারণ হিসেবে বোর্ড প্রধান বলেছেন, 'প্রথম কাজ ওদের দিয়েছি একটা টুর্নামেন্ট চালু করতে। টেস্ট কেস হিসেবে, দেখার জন্য। এ টুর্নামেন্ট চালাবে তারা যে কয়টা কমিটি করা হয়েছে। ২০ লক্ষ টাকা তাদের দেওয়া হবে। প্রথমে টেস্ট কেস হিসেবে দেওয়া হবে, কে কীভাবে পারফর্ম করছে।’