পুতিনের হুঁশিয়ারি: এফ-১৬ জঙ্গিবিমান ধ্বংস করে দেবে রুশ বাহিনী

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুমকি দিয়েছেন, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনে এফ-১৬ জঙ্গিবিমান পাঠালে সেগুলো ধ্বংস করে দেবে রুশ বাহিনী। তবে ন্যাটোর সদস্য দেশ নিয়ে রাশিয়ার বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি দেশটির বিমানবাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে পুতিন এ কথা বলেন। খবর রয়টার্স।

পুতিন

পুতিন বলেন, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো পূর্ব দিকে রাশিয়ার দিকে সম্প্রসারিত হয়েছে, কিন্তু তারপরও কোনো ন্যাটো দেশে আক্রমণ চালানোর পরিকল্পনা মস্কোর নেই।

সম্প্রতি জেলেনস্কির চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে পশ্চিমা কয়েকটি দেশ ইউক্রেনকে মার্কিন এফ-১৬ জঙ্গি বিমান সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এ বিষয়ে পুতিন বলেন, এসব বিমান ইউক্রেনের পরিস্থিতি বদলে দিতে পারবে না। পশ্চিমা দেশগুলো এফ-১৬ সরবরাহের অংশ হিসেবে সম্ভবত পাইলটদেরও প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। কিন্তু এসব কিছু যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পাল্টাতে পারবে না। এখন যেমন আমরা যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান ও মাল্টিপল রকেট লঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করছি, তেমনি এসব যুদ্ধবিমানও আমরা ধ্বংস করব।

এফ-১৬ বিমান

পুতিন এ সময় সাবধান করে বলেন, যদি তৃতীয় কোনো দেশের এয়ারপোর্ট থেকে এগুলো ব্যবহার করা হয়, তাহলে যেখানেই হোক না কেন নিশ্চিতভাবেই তারা আমাদের বৈধ লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াবে।

দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে। রুশ প্রতিপক্ষকে ঠেকাতে ইউক্রেন অনেক দিন ধরেই পশ্চিমা মিত্রদের কাছ থেকে এফ-১৬ জঙ্গি বিমান চেয়ে আসছে। প্রথম দিকে রাজি না হলেও সম্প্রতি বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডস দেশটিকে এফ-১৬ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আবার অনেক দেশ ইউক্রেনীয় পাইলটদের এসব যুদ্ধবিমান ব্যবহারের প্রশিক্ষণ দেবে বলে কথা দিয়েছে।

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানিয়েছেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই এফ-১৬ জঙ্গি বিমানের চালান কিয়েভে পৌঁছতে পারে। তার এ বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন পুতিন।

তিনি আরও বলেন, রাশিয়া হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কা করছে পোল্যান্ডসহ বেশ কিছু বাল্টিক রাষ্ট্র। কিন্তু এগুলো পুরোপুরি বাজে কথা। এসবের কোনো ভিত্তি নেই। বরং ইউক্রেনকে অস্ত্র, অর্থ ও গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করে যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করছে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এর আগে কখনোই ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক এতটা খারাপ ছিল না।