মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞায় হংকংয়ের ৪৯ কর্মকর্তা

স্বায়ত্তশাসিত হংকংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে চীন নিয়ন্ত্রিত প্রশাসনের আইনমন্ত্রীসহ ৪৯ জন কর্মকর্তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র । শিগগিরই এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। খবর রয়টার্সের।

হংকংয়ে গণতন্ত্রপন্থীদের ওপর নিয়মিতই দমনপীড়ন চালায় চীন নিয়ন্ত্রিত কর্তৃপক্ষ

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভিসা নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত জানিয়ে এক বিবৃতিতে বলেছে, হংকংয়ের প্রতিশ্রুত স্বায়ত্তশাসন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের স্বাধীনতা ও অধিকার দমনে সদা তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।

এক্ষেত্রে বেইজিংয়ের সর্বশেষ সংযোজন হচ্ছে আর্টিকেল ২৩ নামের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন, যেটি গত বছর আরোপ করেছে চীনের পার্লামেন্ট।

হংকংয়ের কোন কোন কর্মকর্তা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছেন, সেটি  প্রকাশ করেনি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মার্কিন কর্মকর্তাদের একটি সূত্র জানিয়েছে,  হংকংয়ের আইন ও বিচারমন্ত্রী পল লাম ও পুলিশ প্রধান রেমন্ড সিউ এবং বিচারকদের মধ্যে অ্যান্ড্রু চ্যান, অ্যান্ড্রু চিওয়াং, জনি চ্যান, এস্থার তোহ ও আমান্ডা উডকক রয়েছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২০২৩ সালে হংকংয়ের জনগণের অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি চীনা কর্তৃপক্ষের এসব কর্মকর্তাদের চুড়ান্ত দমনমূলক মনোভাব ও কার্যক্রম নজরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের। এসব তৎপরতার প্রতিক্রিয়ায় ওয়াশিংটন হংকংয়ের ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেননা, ওয়াশিংটন হংকংয়ের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

চীনা শাসিত হংকং একসময় ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ১৯৯৭ সালে এক চুক্তির আওতায় যুক্তরাজ্য এই অঞ্চলকে চীনের কাছে হস্তান্তর করে। ওই চুক্তির শর্ত ছিল, হংকং বিশেষ স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা ভোগ করবে এবং সেখানকার প্রশাসনে ‘অযাচিত’ হস্তক্ষেপ করবে না বেইজিং সরকার। তবে শর্ত আর মানছে না চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার।