তাইজুলের প্রতিরোধের পর খালেদ-শরিফুল ঝড়, তবুও শ্রীলঙ্কার লিড

বাংলাদেশের ব্যাটারদের ব্যর্থতা ভরা ইনিংসে আশার আলো দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। অল্পের জন্য ফিফটি বঞ্চিত হয়েছেন এই স্পিনার। শেষদিকে ব্যাট হাতে ছোট ঝড় তোলেন শরিফুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ। এরপরও শ্রীলঙ্কার থেকে পিছিয়ে আছে সফরকারীরা।

১৮৮ রানে অলআউট হয়েছে স্বাগতিকরা

প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। জবাবে ১৮৮ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। ৯২ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসের খেলা শুরু করবে সফরকারী দল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের শুরুটাই ভালো হয়নি। তিন উইকেটে ৩২ রান নিয়ে প্রথম দিনের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় দিনেও ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল। প্রথম সেশনেই মাহমুদুল হাসান জয়, শাহাদাত হোসেন দিপু ও লিটন দাসকে হারায় স্বাগতিকরা।

সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তাইজুল। কাসুন রাজিথার বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪৭ রান করেন তিনি। ষষ্ঠ উইকেটে লিটনকে নিয়ে ৪১ রান যোগ করেন তাইজুল। লিটন ব্যক্তিগত ২৫ রানে লাহিরু কুমারার শিকার হলে ভাঙে এই জুটি।

তাইজুলের বিদায়ের কিছুক্ষণ পর ফিরে যান মেহেদি হাসান মিরাজ। ১১ রান করেন এই অলরাউন্ডার। এক সময় মনে হচ্ছিল ১৫০’র আশেপাশেই গুটিয়ে যাবে বাংলাদেশ। যদিও সংগ্রহটা আরেকটু বাড়িয়েছেন শরিফুল ও খালেদ। নবম উইকেটে এই পেসার মিলে যোগ করেন ৪০ রান।

১৫ রান করে আউট হন শরিফুল। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে খালেদ ব্যক্তিগত ২২ রানে আউট হলে অলআউট হয় বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের গুটিয়ে দিতে বল হাতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন বিশ্ব ফার্নান্দো। ৪৮ রানের বিমিময়ে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া রাজিথা ও কুমারার শিকার তিনটি করে উইকেট।

এর আগে ডি সিলভা ও কামিন্দু মেন্ডিসের জোড়া শতকে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৫৭ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল সফরকারী দল। এরপর ২০২ রানের জুটি গড়েন তারা। প্যাভিলিয়নে হাঁটার আগে দুজনই খেলেছেন সমান ১০২ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও নাহিদ রানা।