ম্যান্ডেট চুরির অভিযোগ তুললেন ইমরান খান, বিচার দাবি

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সরকার গঠনের ক্ষমতা (ম্যান্ডেট) চুরি বা কুক্ষিগত করে প্রতিদ্বন্দ্বী পিএমএল-এন ও পিপিপিকে জোট সরকার গঠনের সুযোগ করে দেওয়া কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে তাদের বিচার দাবি করেছেন কারবন্দী ইমরান খান।

ইমরান খান

ডনের বরাতে দ্য হিন্দু জানিয়েছে, আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানিতে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে তিনি একথা বলেন। এই মামলায় ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি, সহযোগী ফারাহ গোগী ও ধনকুবের মালিক রিয়াজকেও আসামি করা হয়েছে।

পাকিস্তানে গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ তোলে ইমরানের দল পিটিআই। দলটির সমর্থিত ৯০ জনেরও বেশি স্বতন্ত্র প্রার্থী জাতীয় পরিষদের বেশিরভাগ আসন লাভ করেন। কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ নেতৃত্বাধীন পিএমএল-এন ও প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলওয়াল ভুট্টো নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি নির্বাচন পরবর্তী জোট সরকার গঠন করে।

পিটিআই বলছে, পাকিস্তানের জনরায় চুরি করে ওই নতুন সরকার গঠন করা হয়েছে। ইমরান খান শনিবার দাবি করেন, তার দল ৩ কোটির বেশি ভোট পেয়েছে, যেখানে বাকি ১৭টি রাজনৈতিক দল যৌথভাবে ওই সংখ্যক ভোট পেয়েছে। নির্বাচনে অনিয়মের বিষয়টি আইএমএফের সঙ্গে আলাপ করেছে পিটিআই। বেসরকারি সংগঠনগুলোও নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ত্রুটির বিষয়টি উল্লেখ করেছে।

পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্রে আইএমএফ সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভও হয়েছে।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয়। ভোটে কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির পিপিপিসহ আট দল মিলে সরকার গঠনের লক্ষ্যে জোটভুক্ত হয়।

ওই আট দলের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ছিলেন শাহবাজ। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পিটিআই এর প্রার্থী ওমর আইয়ুব খান, যাকে নিজেদের প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করতে সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলে (এসআইসি) যোগ দেন পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র এমপি বা এমএনএরা।

অনেক নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের ভোটাভুটিতে ২০১ ভোট পেয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন পিএমএল-এন প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ। আর ওমর আইয়ুব পান ৯২ ভোট। পরে দেশটির ২৪তম ও টানা দ্বিতীয়বারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শাহবাজ শরিফ।