যুদ্ধবিরতির চুক্তি ছাড়াই মিশর ছাড়লেন হামাসের প্রতিনিধিরা

চারদিন আলোচনার পরও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে না পারায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি ছাড়াই মিশর ছেড়েছেন ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের প্রতিনিধিরা। তেলআবিবের সঙ্গে যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে গত রোববার তারা মিশরের রাজধানী কায়রোতে গিয়েছিলেন। খবর বিবিসি।

গাজায় হামলা বন্ধে প্রতিশ্রুতি দিতে রাজি হয়নি ইসরায়েল

খবরে বলা হয়, পবিত্র রমজান শুরু হওয়ার আগে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সেটি আপাতত আলোর মুখ দেখেনি। তাই বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) হামাস প্রতিনিধিরা কায়রো ছাড়েন। তবে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শেষ হয়ে গেলেও দুই পক্ষের মধ্যে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা চলবে বলে জানিয়েছে হামাস।

কায়রোতে সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় ইসরায়েল নিজেদের কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি। তারা আলোচনার আগেই হামাসের কাছে জীবিত ও মৃত জিম্মিদের তালিকা চেয়েছিল। হামাস জবাবে জানায়, চলমান অব্যাহত হামলার মধ্যে এ তালিকা করা সম্ভব নয়। এর পরে আর আলোচনায় যোগ দেয়নি ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা।

গাজায় বাস্তুচ্যুত লোকজন

অন্যদিকে নতুন যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের দাবি ছিল, ইসরায়েলকে স্থায়ীভাবে সব ধরনের হামলা বন্ধ করতে হবে। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে তাদের বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে দিতে হবে। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত না হলে তারা জিম্মিদের মুক্তি দেবে না। তবে ইসরায়েল এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দিতে সম্মত হয়নি।

এদিকে হামাসের প্রতিনিধিরা মিশর ছেড়ে যাওয়ার পর হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ জন্য আমাদের প্রতিনিধিরা কায়রো ছেড়েছে। আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ, বাস্তুচ্যুতদের নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়া এবং তাদের কাছে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

যুদ্ধবিরতির আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন জানান, পবিত্র রমজান মাস শুরু উপলক্ষ্যে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হতে পারে বলে আশাবাদী ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা। চুক্তিটি কার্যকর হলে হামাস ৪০ জন ইসরায়েলি বন্দীকে মুক্তি দিতো। এর পরিবর্তে ইসরায়েল ৪০০ ফিলিস্তিনি বন্দীকে মুক্তির পাশাপাশি গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছতে দিতো।

এদিকে গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা যুদ্ধবিরতির চুক্তির ব্যাপারে জানিয়েছিলেন, চুক্তির ক্ষেত্রে যেসব আপত্তি ছিল সেগুলো নিষ্পত্তি করা হয়েছে এবং চুক্তি করাও সম্ভব। তবে শেষ পর্যন্ত তার কথা বাস্তবায়িত হয়নি।