স্কোলজ: ন্যাটো ইউক্রেন সংঘাতের অংশ নয়, ভবিষ্যতেও হবে না

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ বলেছেন, ন্যাটো ইউক্রেনের সংঘাতের কোনো পক্ষ নয় এবং ভবিষ্যতেও কোনো পক্ষ হবে না। এভাবেই চলবে ন্যাটো। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স পেজে পোস্ট করা এক ভিডিওতে এ কথা বলেন স্কোলজ। খবর আনাদোলু।

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ

নিজ বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়ে জার্মান চ্যান্সেলর বলেন, এর অর্থ হচ্ছে, এই যুদ্ধে জার্মানির কোনো অংশগ্রহণ থাকছে না। আমি স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি, আমরা ইউক্রেনে বুন্দেসওয়ের কোনো সেনা পাঠাব না। এ বিষয়ে আমাদের সেনারা নিশ্চিত থাকতে পারে। আপনারাও এ বিষয়ে আমার বক্তব্যের ওপর নির্ভর করতে পারেন।

তবে কিয়েভকে অস্ত্র সহায়তার ব্যাপারে তিনি বলেন, জার্মানি তার ন্যাটো অংশীদার ও মিত্রদের সঙ্গে মিলে কিয়েভের প্রতি সমর্থন বাড়াচ্ছে। ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর বর্তমানে অনেক গোলাবারুদ ও অস্ত্র, বিশেষ করে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে আমাদের মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে এটি নিয়ে গভীরভাবে আলোচনা করেছি। অনেকেই বিষয়টি উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

ন্যাটো

উল্লেখ্য, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্যারিসে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর সম্ভাবনার কথা বলেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পশ্চিমা কোনো দেশ ইউক্রেনে সেনা না পাঠালেও ভবিষ্যতে এ ধরনের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে বৈঠকে উপস্থিত কেউই তার এ মতকে সমর্থন করেননি। ওই বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ, পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ ডুদাসহ প্রায় ২০টি ইইউ দেশের প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিত্ব করেন ইউরোপীয় ও ইউরেশীয় বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ও’ ব্রায়েন এবং যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। তাদের কেউ ফ্রান্সের এ মতকে সমর্থন করেননি। বরং ফ্রান্সের কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিত্র এরইমধ্যে ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর এ বক্তব্যে বিরোধিতা প্রকাশ করেছে। এমনকি ন্যাটো মহাসচিবও স্পষ্টভাবে ইউক্রেনের সেনা না পাঠানোর বিষয়টি উল্লেখ করেন।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ওই বক্তব্যের পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে এর কড়া সমালোচনা করা হয়েছিল। এমনকি এ ধরনের পদক্ষেপ পরমাণু যুদ্ধ শুরু করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন রুশ মুখপাত্র।