রেকর্ড হারে কমছে জাপানের জনসংখ্যা

জাপানে রেকর্ড হারে কমছে জনসংখ্যা। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে দেশটিতে আগের বছরের তুলনায় শিশুর জন্মসংখ্যা ৪০ হাজার কম। শুধু তাই নয়, জন্মের চেয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক বেশি হয়েছে বছরটিতে। এ নিয়ে চিন্তিত জাপান সরকার। খবর বিবিসি ও জাপান টাইমসের।

জাপানের জনসংখ্যা প্রতিবছরই কমছে রেকর্ড হারে

জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে শিশুর জন্মহার ৫.১ শতাংশ কমেছে। দেশটিতে শিশুর জন্ম ৭ লাখ ৫৮ হাজার ৬৩১ জনে নেমে এসেছে। আগের বছর জন্ম নিয়েছে ৭ লাখ ৯৯ হাজার ৭২৮ শিশু। ২০২২ সাল থেকেই শিশুর জন্ম সংখ্যা ৮ লাখের নিচে নেমে এসেছে।

একটি দেশের জন্মহার মূলত একটি নির্দিষ্ট বছরে মোট জনসংখ্যার সঙ্গে ওই বছরে জন্ম নেওয়া জীবিত শিশুর অনুপাত। এটি সাধারণত প্রতি ১০০০ জনে শিশু জন্মের সংখ্যা হিসাব করা হয়।

সরকারি তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে জাপানে অভিবাসীসহ মোট জনসংখ্যা ৮ লাখ ৩১ হাজার ৮৭২ জন কমেছে। বছরটিতে শিশুর জন্মের চেয়ে ছাড়িয়ে গেছে মোট মৃত্যুর সংখ্যা।

জাপানে ১৯৭৩ সালে সর্বোচ্চ ২০ লাখ ৯০ হাজার শিশুর জন্ম হয়েছিল এবং ২০১৬ সালে শিশু জন্ম প্রথমবার ১০ লাখের নিচে নেমে আসে।

জাপান সরকারের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চের একটি পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ২০৩৫ সালে দেশে শিশুর জন্ম ৭ লাখ ৬০ হাজারের নিচে নেমে আসবে।

সরকারি তথ্য অনুসারে, জাপানে মৃত্যুর সংখ্যাও রেকর্ড ছুঁয়েছে। ২০২৩ সালে মোট ১৫ লাখ ৯০ হাজার ৫০৩ জন মারা গেছে।

কিয়োডো নিউজ জানিয়েছে, শিশুর জন্মহার দ্রুত গতিতে হ্রাস পাওয়ার কারণ হিসেবে দেরীতে বিবাহ এবং বেশি সংখ্যক মানুষ অবিবাহিত থাকার প্রবণতাকে দায়ী করা হচ্ছে।

তথ্যমতে, ২০২৩ সালে জাপানে বিয়ে হয়েছে ৪ লাখ ৮৯ হাজার ২৮১ দম্পতির, যা আগের বছরের তুলনায় ৩০ হাজার কম এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সর্বনিন্ম।

প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার প্রশাসন বলছে, দেরিতে বিয়ে করা বা বিয়ে না করার প্রবণতা উল্টে দিয়ে শিশুর জন্মহার বাড়ানোর শেষ সুযোগ ২০৩০ সাল পর্যন্ত।