আকাশে উড়ল তুরস্কের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান ‘কান’

তুরস্ক তাদের নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান 'কান' আনুষ্ঠানিকভাবে আকাশে উড্ডয়ন করেছে। বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারার মুর্টেড এয়ারফিল্ড থেকে ১৩ মিনিটব্যাপী প্রথম ফ্লাইটটি পরিচালনা করে তুর্কি অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (টিএআই)। খবর ইয়ানি শাফাক।

কান

এই যুদ্ধবিমান তুর্কি নৌবাহিনীর পুরোনো এফ-১৬ বিমানগুলোর পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে। গত বছর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পর বুধবার প্রথমবারের মতো আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্লাইটটি চালানো হয়। ‘কান’ তুর্কি ভাষায় যার অর্থ রাজাদের রাজা।

উড্ডয়ন অনুষ্ঠানে তুর্কির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান বলেন, “তুরস্ক নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট তৈরির কঠিন সময় পেছনে ফেলে এসেছে। আগামী দিনগুলোতে আমরা প্রতিরক্ষা শিল্পে আমাদের জাতিকে নতুন নতুন সুসংবাদ দিতে থাকব।”

তুর্কির প্রতিরক্ষা শিল্পের প্রেসিডেন্সির প্রধান হালুক গোরগুন বলেন, “আঙ্কারা আরেকটি উন্নয়ন অর্জন করেছে যা প্রতিরক্ষা শিল্পের অন্যতম মাইলফলক হবে। আমরা আগামীতে এমন প্রযুক্তিও আনব, যা বিশ্বের খুব কম দেশেই আছে।”

কান ও এরদোয়ান

কান যুদ্ধবিমানের বৈশিষ্ট্য

• ৬৯ ফুট দীর্ঘ
• শব্দের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতিতে উড়তে সক্ষম
• দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট
• ঘণ্টায় দুই হাজার ২২২ কিলোমিটার গতিতে উড়তে পারে
• রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম
• আকাশ থেকে আকাশ এবং আকাশ থেকে ভূমিতে মিসাইল ছুড়তে পারে
• লেজার নিয়ন্ত্রিত কিংবা বাঙ্কার বিধ্বংসী বোমাহামলা চালাতে পারে
• বিভিন্ন ধরনের গাইডেড বোমা বহন করতে পারে
• উচ্চ সচেতনতা প্রযুক্তি
• যুদ্ধের ক্ষতি সনাক্তকরণ প্রযুক্তি
• অপ্টিমাইজড পাইলট ওয়ার্কলোড
• নতুন প্রজন্মের মিশন সিস্টেম
• কম পর্যবেক্ষণযোগ্যতা প্রযুক্তি ও নির্ভুল আঘাত হানার সক্ষমতার প্রযুক্তি

অনেক বছর ধরেই আঙ্কারা পঞ্চম প্রজন্মের মার্কিন স্টিলথ যুদ্ধবিমান এফ-৩৫ পেতে চাইছে। এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তারা চুক্তিও করে। তবে রাশিয়ার কাছ থেকে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ‘এস-৪০০’ কেনায় যুক্তরাষ্ট্র এফ-৩৫ দেওয়ার বিষয়ে গড়িমসি শুরু করে। তুরস্ক অনেক আগেই নিজস্ব প্রযুক্তিতে ৫ম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছিল। ২০১৬ সালে তারা এ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গড়িমসির কারণেই তার এ প্রকল্প আরও জোরদার হয়।