বাবাকে উৎসর্গ আকাশের স্বপ্নের মুহূর্ত

রাঁচি টেস্টে ভারতের জার্সিতে অভিষেক হয়েছে পেসার আকাশ দীপের। শুক্রবার টেস্ট শুরুর দিনের প্রথম সেশনেই তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। দিনের বাকি অংশে আর কোনো উইকেট না পেলেও দিনের সেরা বোলার ছিলেন আকাশ (৭০/৩)। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন শুরুর দিনে প্রয়াত বাবাকে মরে পড়ছে দীপের। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্স বাবাকে উৎসর্গ করেছেন তিনি।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক টেস্টের শুরুর দিনেই বল হাতে আগুন ঝরিয়েছেন আকাশ দীপ

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্টে গ্যালারিতে বসে আকাশের দারুণ বোলিং দেখেছেন তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু দিনের খেলা শেষে অন্তরালে থাকা বাবা ও বড় ভাইকে মনে পড়েছে তার। সংবাদ সম্মেলনে আকাশ বলেন, ‘বাবা চেয়েছিলেন আমি যেন কিছু করে দেখাতে পারি। এর এক বছর পর বাবা ও বড় দাদাকে (বড় ভাই) হারাই। এরপর ঠিক করি, আমাকে কিছু একটা করতেই হবে। সেই সময় আমার হারানোর কিছু ছিল না, জেতার অনেক কিছু ছিল। আজ আমি তা পেরেছি। দেশের হয়ে টেস্ট খেলার মুহূর্ত বাবাকে উৎসর্গ করছি।’

খুব বেশি আলোচনায় না থাকলেও ভারতের টেস্ট ক্যাপ মাথায় দিয়েছেন আকাশ। শুরুটাও বেশ ভালো করেছেন ২৭ বছর বয়সী এই বোলার। অথচ ক্রিকেট কী তা জানতেন না আকাশ, ‘দেশের হয়ে টেস্ট খেলার স্বপ্ন ছিল। কিন্তু ছোট বেলায় জানতাম না, ক্রিকেট কী। আমাদের গ্রামে ক্রিকেট খেলা হয় না তেমন। ২০০৭ সালে প্রথমবার বল হাতে নেই, সেটিও টেপ টেনিস।’

পেসার হিসেবে আকাশ অনুরকণ করেন দুজনকে। একজন স্বদেশি অন্যজন বিদেশি। ক্রিকেটে নিজের আদর্শ প্রসঙ্গে অভিষিক্ত ভারতীয় পেসার বলেছেন, ‘২০১৬ সালে প্রথম ক্রিকেট বলে খেলি। সেদিন থেকেই আমি মোহাম্মদ শামি ও কাগিসো রাবাদাকে অনুসরণ করি।’

রাঁচি টেস্টে জাস্প্রিত বুমরাহর জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন আকাশ। এদিন মাঠে নামার আগে বুমরাহর থেকে কোনো পরামর্শ পেয়েছেন কিনা তা জানতে চাইলে আকাশ বলেন, ‘হ্যাঁ, কথা হয়েছে। বুমরাহ ভাই বলেছেন, স্বাভাবিক লেংথের থেকে একটু খাটো লেংথে বল রাখতে। কারণ, আন্তর্জাতিক পর্যায় ব্যাটাররা আক্রমনাত্মক ক্রিকেট খেলে। এটা মাথায় রেখে লাইন এবং লেংথের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি।’