জিম্মিদের মুক্তির জন্য হামাসকে আলটিমেটাম ইসরায়েলের

গাজায় আটক সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া না হলে রাফাহ শহরে ভয়ানক আক্রমণ চালানোর হুমকি দিয়েছে ইসরায়েল। জিম্মিদের মুক্তির জন্য আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছে ইসরায়েলি যুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রিসভা। খবর বিবিসির।

রাফাহ শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় বিধ্বস্ত বাড়ির সামনে এক নারী

গাজার জনাকীর্ণ দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে আসছে ইসরায়েল। শহরটিতে এই ধরনের হামলার বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিরোধিতা চলছে। কেননা, শহরটিতে ১৫ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছে।

জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিশ্বের শঙ্কা, উদ্বাস্তুদের আশ্রয় নেওয়া শহরটি বড় রকমের ইসরায়েল স্থল অভিযান চালালে সেখানে ভয়ানক বেসামরিক হত্যাযজ্ঞ ঘটবে। এমনিতেই প্রায় দিনই শহরটিতে বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।

আন্তর্জাতিক চাপ সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফাহ শহরে হামাসের বন্দুকধারীদের নির্মূল করতে স্থল হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

উদ্বেগ উপেক্ষা করেই স্থল সেনারা শহরটিতে কবে অভিযান চালাবে, তার একটি ডেটলাইন দিল ইসরায়েলের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।

ইসরায়েলের যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস যদি ইসরায়েলি জিম্মিদের আগামী ১০ মার্চের মধ্যে মুক্তি না দেয়, তবে ওইদিনই রাফাহ শহরে স্থলবাহিনী নামবে।

সাবেক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্যান্টজ বলেন, বিশ্বকে অবশ্যই জানতে হবে এবং হামাস নেতাদের অবশ্যই জানা উচিত - রমজানের মধ্যে আমাদের জিম্মিরা বাড়িতে না থাকলে, রাফাহ অঞ্চলে সর্বাত্মক লড়াই চলবে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায়। ওই হামলায় একদিনেই ১১৩৯ ইসরায়েলি নিহত এবং আরও ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।

হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে ৭ অক্টোবর থেকেই গাজায় নির্বিচার বিমান হামলা, স্থল অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ৬০০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৮ হাজারের বেশি আহত হয়েছে। হতাহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।