হৃদয় ঝড়ে উড়ে গেল খুলনা

তাওহিদ হৃদয়ের কি আফসোস হচ্ছে? হওয়ারই কথা। অল্পের জন্য যে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটা পেলেন না তিনি। শতক হয়নি খুলনা টাইগার্স রান ‘কম’ করাতে। সেটাও নেহাৎ কম নয়। টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভারে আট উইকেটে ১৬৪ রানের শক্তিশালী সংগ্রহ তোলে এনামুল হক বিজয়ের দল।

৯১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলার পথে তাওহিদ হৃদয়ের আরেকটি দারুণ শট

চ্যালেঞ্জিং রান তাড়ার কাজটা সহজেই করেছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ম্যাচের ২১ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা (১৬৮/৩)। নব্বইর ঘরে অজেয় থাকলেন হৃদয়। দাপুটে এই জয়ের পরও পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠতে পারেনি লিটন দাসের দল। নয় ম্যাচে সাত জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে কুমিল্লা। সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে এগিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে রংপুর রাইডার্স।

আজ বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে খুলনা দেড় শ’ ছাড়িয়েছে সম্মিলিত ব্যাটিং প্রচেষ্টায়। কিন্তু কেউ পাননি ব্যক্তিগত ফিফটি। শুরু ছয় ব্যাটারই সাজঘরে ফিরেছেন উইকেটে থিতু হওয়ার পর। ২০ বলে দলীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন এভিন লুইস। ইনিংস সাজান তিনটি চার ও দুই ছক্কায়। ৩৩ বলে ২৯ রানের মন্থর ইনিংস খেলেন ওপেনার আফিফ হোসেন ধ্রুব।

এ ছাড়া অ্যালেক্স হেলস ১৭ বলে ২২, এনামুল ১৩ বলে ১৮, মাহমুদুল হাসান জয় ১৯ বলে ২৮, ওয়েন পারনেল ১১ বলে ২০ রানে আউট হন। কুমিল্লার পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন আগের ম্যাচে হ্যাটট্রিক করা ইংলিশ অলরাউন্ডার মঈন আলি ও ম্যাথু ফোর্ড। একটি করে শিকার আলিস ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমানের। তাদের দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে লক্ষ্যমাত্রা কুমিল্লার নাগালেই থাকে।

রান তাড়ায় শুরুতেই ধাক্কা খায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় তিন রানে অধিনায়ক লিটনের উইকেট হারায় তারা। দলীয় ফিফটির আগে ফেরেন আরেক ওপেনার উইল জ্যাকস। ১০ বলে ১৮ রান করেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান। ততক্ষণে শুরু হয়ে গেছে হৃদয় ঝড়। সেই ঝড়ে ছত্রখান হয়ে যায় খুলনার বোলিং লাইন। জয়ের সুবাস পেতে থাকে কুমিল্লা।

৪৭ বলে সাতটি করে চার-ছক্কায় ৯১ রানে অপরাজিত থাকেন হৃদয়। অবধারিতভাবেই ম্যাচ সেরা হয়েছেন তিনি। হৃদয়ের সঙ্গী জাকের আলি ৩১ বলে দুটি চার ও তিন ছক্কায় ৪০ রানে অজেয় ছিলেন। এই দুজনের মাঝে ব্যাটিংয়ে নেমে আট বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন জনসন চার্লস। খুলনার পক্ষে একটি করে উইকেট নেন পারনেল, মুকিদুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।

আসরে এটা খুলনার টানা পঞ্চম হার। কে বলবে এই বিপিএলে প্রথম চার ম্যাচের চারটিতেই জিতেছিল তারা! সেই দলটাই এখন টানা হারে প্লে-অফের টিকিটের দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ল। নয় ম্যাচে আট পয়েন্ট নিয়ে খুলনা টেবিলের পঞ্চমস্থানে আছে। তাদের ওপরে আছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশাল। দুটি দলেরই অর্জন সমান ১০ পয়েন্ট। তবে রানরেটে এগিয়ে তিনে আছে বরিশাল।