পাকিস্তানে ক্ষমতা ভাগাভাগির নতুন ‘ফর্মুলা’য় পিএমএল-এন

পাকিস্তানে ভোটের ফল জোটে গড়ালেও সরকার গঠনে সুরাহায় আসতে পারেনি কোনো দল। দল হিসেবে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন জেতা সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পিএমএল-এন শিবির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিলাওয়াল ভুট্টোর পিপিপিসহ অন্যদের জোট সরকারে ভেড়ানোর। তবে এরইমধ্যে পিপিপি প্রধানমন্ত্রীর পদ দাবি করায় কৌশলী পথ ধরেছে পিএমএল-এন। ক্ষমতা ভাগাভাগির একটি নতুন ‘ফর্মুলা’ মাথায় নিয়েই আলোচনায় যাচ্ছে নওয়াজের দল। খবর এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের।

সরকার গঠনে ক্ষমতা ভাগাভাগির কৌশল নিয়েছে নওয়াজ শিবির

পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনের পূর্ণাঙ্গ ভোটের ফল অনুযায়ী, ২৬৪ আসনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১০১ আসনে জয় পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এরপরই নওয়াজের পিএমএল-এন জিতেছে ৭৫ আসনে। পিপিপি জয় পেয়েছে ৫৪ আসনে এবং এমকিউএম-পি ১৭ আসনে জয়ী হয়েছে। অন্যান্য ছোট কয়েকটি দল পেয়েছে ১৭ আসন। একক সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৩৪ আসন। তবে কোনো দলই তা পায়নি।

ভোটের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইমরান খানের পিটিআই সমর্থিতরা সর্বাধিক আসনে জিতলেও তাদের পরিচয় স্বতন্ত্র এমপি। সেক্ষেত্রে নওয়াজের পিএমএল-এন নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল দাবি করে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, জোট সরকার গঠনের।

নওয়াজ শিবির পিপিপিসহ আরো ছোট দুয়েকটি দল বা স্বতন্ত্র কয়েকজনকে জোটে ভেড়ানোর জন্য আলোচনা চালাচ্ছে। তবে এরইমধ্যে নওয়াজের ভাই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফসহ নেতারা পিপিপির কো-চেয়ারম্যান সাবেক প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা সেরেছেন। বৈঠকে পিএমএল-এনের সঙ্গে জোটে যেতে হলে পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টোকে প্রধানমন্ত্রী করার দাবি জানিয়েছেন তার বাবা আসিফ জারদারি।

এমন পরিস্থিতিতে পড়ে একটি ফর্মুলা বানিয়েছে নওয়াজের দল এবং সেই কৌশল ধরেই সম্ভাব্য মিত্রদের সঙ্গে আলোচনা চালাতে চায় দলটি।

পিএমএল-এন সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর পদ পিএমএল-এনের হাতেই থাকবে। পিপিপিসহ মিত্ররা যদি প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি হয়, তবে প্রেসিডেন্ট ও স্পিকারের পদ পিপিপিকে দেওয়া যেতে পারে।

একইভাবে এমকিউএম-পিকে দেওয়া যেতে পারে ডেপুটি স্পিকারের পদ। এছাড়া স্বতন্ত্র পদে জেতা কোনো প্রভাবশালী প্রার্থী সরকারে এলে তাকেও ডেপুটি স্পিকার পদ দেওয়া যেতে পারে। পাশাপাশি অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় নিজেদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে বণ্টন করে নিতে চায় পিএমএল-এন।

এদিকে পিপিপি সূত্র জানিয়েছে, দলের চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো ও কো-চেয়ারম্যান আসিফ জারদারি নতুন জোট সরকারে থাকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ বিষয়ে নওয়াজের দলের দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে পিপিপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির (সিইসি) বৈঠকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।