জাতিসংঘ থেকে ইসরায়েলকে বহিষ্কারের দাবি জানালো ইরান

ইসরায়েলকে জাতিসংঘ থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি। গাজায় চালানো যুদ্ধাপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনসহ বিভিন্ন কারণে ইসরায়েলের ব্যাপারে তিনি এ আহ্বান জানান। খবর আনাদোলু।

ইব্রাহিম রায়িসি

ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৫তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার ইরানের রাজধানী তেহরানের ঐতিহাসিক আজাদ স্কয়ারে আয়োজিত এক শোভাযাত্রায় অংশ নেন ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েল এ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার চার শতাধিক ইশতেহার, প্রস্তাব ও ঘোষণা লঙ্ঘন করেছে। তারা জাতিসংঘের প্রস্তাব ও নীতিমালার প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলের সদস্যপদ বাতিলের জন্য তিনি জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান।

ফিলিস্তিন ইস্যুকে এই মুহূর্তে মুসলিম বিশ্বের প্রধান ইস্যু হিসেবে ঘোষণা দিয়ে রাইসি জানান, ফিলিস্তিনের প্রতি ইরানের অকুণ্ঠ সমর্থন আগের মতোই অব্যাহত থাকবে। এছাড়া পশ্চিমাদের প্রতি ইঙ্গিত করে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, গণতন্ত্র রক্ষার দাবিদারেরা ফিলিস্তিন ও ইয়েমেনের জনগণের রায়কে মূল্য দিচ্ছে না, তাদের ভোটাধিকারের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছে না।

গাজায় ইসরায়েলি হামলা

ইরানকে বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, প্রাচ্য বা পাশ্চাত্যের কোনো ধরনের তাবেদারি না করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অটুট রাখার নীতিতে তেহরান এখনও অটল। তেহরানের এই অবস্থানের কারণে শত্রুদের ভাষাতেও পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন আর ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারে না। এ সময় তিনি বিপ্লব পরবর্তী ইরানের বিভিন্ন উন্নয়ন-অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, ইরানের পাহলভি রাজবংশের ৫৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটাতে ১৯৭৯ সালে ইরানে বিপ্লব অনুষ্ঠিত হয়। তখন থেকে তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কে ভাঙ্গন তৈরি হয়। একই সময়ে ইরান ইসরায়েলের সঙ্গেও তার কূটনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করে এবং তেল আবিবের সরকারের বৈধতা মেনে নিতে অস্বীকার করে।