এবার নির্বাচনে বিজয় দাবি নওয়াজের

পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে এবার বিজয় দাবি করেছেন ক্ষমতাসীন পার্টি পিএমএল-এন প্রধান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২৬৫ আসনের ফল ঘোষণায় তার দল জিতেছে ৬৪ আসনে। অন্যদিকে ৯২ আসনে জিতেছে আরেক সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। ন ওয়াজের আগেই বিজয় দাবি করেছেন জেলবন্দি ইমরান। খবর রয়টার্স ও ডনের।

সংখ্যাগরিষ্ঠ একক দল হিসেবে বিজয় দাবি করছেন নওয়াজ শরিফ

চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট আর সহিংসতার মধ্যেই বৃহস্পতিবার জাতীয় পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে পাকিস্তানে। বৃহস্পতিবার ভোট হলেও গণনা শুরু হয় ১২ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকালে। এ নিয়ে ক্ষমতাসীনদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠলেও সময় গড়িয়ে আসনে আসনে যতই ভোটের ফল প্রকাশ হতে থাকে, ততই মিলতে থাকে চমক।

সেই চমকটি হচ্ছে নির্বাচন থেকে দুরে সরিয়ে রাখতে কারাবন্দি করা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের প্রার্থীদের বিজয়ের খবর আসতে থাকে একে একে। যদিও তাদের পিটিআইয়ের দলীয় প্রতীকেও ভোট করতে দেওয়া হয়নি। তাদের জয় হিসাব হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।

জাতীয় পরিষদে এবার সরাসরি ভোট হয়েছে ২৬৬ আসনে। একটি আসনের প্রার্থী দুর্বৃত্তের হাতে নিহত হওয়ায় ভোট স্থগিত করা হয়েছে। সেই হিসেবে ভোট হয়েছে ২৬৫ আসনে।

সর্বশেষ প্রকাশিত ১৬৫ আসনের ভোটের ফলে দেখা যায়, ইমরানের সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন ৯২ আসনে। অন্যদিকে নওয়াজ শরিফের দল পিএমএল-এন প্রার্থীরা জিতেছেন ৬৪ আসনে। বিলাওয়াল ভুট্টোর দল পিপিপির প্রার্থীরা জিতেছেন ৫০ আসনে।

ভোটের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, ইমরান সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেশি আসনে জিতলেও একক দল হিসেবে সবচেয়ে বেশি আসন জিতেছে নওয়াজের দল। আর সে কারণেই ভোটে বিজয় দাবি করছেন নওয়াজ শরিফ।

লাহোরে এক সংবাদ সম্মেলনে শুক্রবার সন্ধ্যায় নওয়াজ শরিফ বলেন, পাকিস্তান মুসলিম লীগ (পিএমএল-এন) নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। তাই আমরা জোট সরকার গঠনের পথে যাচ্ছি। দেশকে এই ঘূর্ণিপাক থেকে বের করে আনা আমাদের কর্তব্য।

নওয়াজ বলেন, যারা জনগণের ম্যান্ডেট পেয়েছেন, স্বতন্ত্র হোক বা দল, আমরা তাদের সম্মান করি। আমরা তাদের আমাদের সঙ্গে বসতে এবং আহত জাতিকে নিজ পায়ে দাঁড়াতে সহায়তা করতে আমন্ত্রণ জানাই।

সরকার গঠনের জন্য একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সরাসরি ভোটের ১৩৪ আসন এবং সংরক্ষিত আসনসহ ১৭২ আসনে জয় পেতে হবে। সেই ম্যাজিক নাম্বার কেউ না পেলে গড়তে হবে জোট সরকার। সেক্ষেত্রে নওয়াজ একক বৃহত্তম দল হিসেবে চেষ্টা চালাবেন জোট গঠনের কিংবা স্বতন্ত্রদের দলে টানার।