ডাবল সেঞ্চুরির এলিট ক্লাবে নিসাঙ্কা

ওয়ানডে সংস্করণে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি এতোদিন ছিল সনাৎ জয়সুরিয়ার। এই কিংবদন্তিকে ছাড়িয়ে গেলেন পাথুম নিসাঙ্কা। সাবেক বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে পেছনে ফেলেই ক্ষান্ত হননি তিনি, প্রথম লঙ্কান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরির নজির গড়লেন এই ওপেনার। আজ শুক্রবার পাল্লেকেলেতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে স্বপ্নের ইনিংসটি খেলেন নিসাঙ্কা; প্রবেশ করেন দ্বিশতকের এলিট ক্লাবে।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিকে পাথুম নিসাঙ্কা রূপ দিয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরিতে

জয়সুরিয়া গ্যালারিতে বসেই দেখেছেন কীভাবে তাকে ছাড়িয়ে গেছেন উত্তরসূরি। নিসাঙ্কাকে আউট করতে পারেননি আফগানরা। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ব্যাটিং করেছেন তিনি। ১৩৯ বলে ২১০ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে অপরাজিত থাকেন নিসাঙ্কা। ইনিংস সাজান ২০টি চার ও আট ছক্কায়। তার দারুণ ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ওভারে তিন উইকেটে ৩৮১ রানের পাহাড় গড়ে শ্রীলঙ্কা।

নিসাঙ্কা দ্বিশতক পূরণ করতেই গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে তালি দিয়ে অভিনন্দন জানান জয়সুরিয়া। ২০০০ সালে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ১৬১ রান করেছিলেন এই বাঁহাতি অলরাউন্ডার। এতোদিন এটাই ছিল লঙ্কানদের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। শ্রীলঙ্কার সাবেক ওপেনার ও বর্তমান নির্বাচক উপুল থারাঙ্গা অবশ্য ২০১৩ সালে ১৭৪ রান করেছিলেন।

দীর্ঘ দুই যুগ পর জয়সূরিয়ার রেকর্ড ভেঙে গেল। শুধু তাই নয়, দশম ব্যাটার হিসেবে এই সংস্করণে ডাবল সেঞ্চুরিও হয়ে গেল নিসাঙ্কার। ২০১০ সালে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ওয়ানডেতে দ্বিশতক হাঁকিয়েছিলেন ভারতের ব্যাটিং ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকার। সর্বোচ্চ তিনটি ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড আছে রোহিত শর্মার। তিনি ছাড়া আর কোনো ব্যাটারের দুটি দ্বিশতকও নেই।

অবশ্য নিসাঙ্কার ইনিংসটা শ্রীলঙ্কার সর্বোচ্চ হলেও সার্বজনিন রেকর্ডে যৌথভাবে পঞ্চম। ২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১০ রানে অপরাজিত ছিলেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম। এই দুজনের ওপরে আছেন যথাক্রমে ক্রিস গেইল, বীরেন্দর শেবাগ, মার্টিন গাপটিল ও রোহিত। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ২৬৪ রানের রেকর্ডটাও ভারতীয় অধিনায়কের দখলে। ওয়ানডেতে ১২টি ডাবল সেঞ্চুরির মধ্যে ছয়টিই ভারতীয়দের।