পাকিস্তান নির্বাচন: সহিংসতার মধ্যে শেষ হলো ভোট গ্রহণ

পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। ভোট সম্পর্কিত সহিংসতা এবং হামলায় অন্তত ৯ জন নিহত হয়েছে। অবশ্য বিচ্ছিন্ন সহিংসতা সত্ত্বেও ৮ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যেই ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এখন ভোট গণনা চলছে।

পাকিস্তানের পতাকা

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের ডেরা ইসমাইল খানে বন্দুকধারীরা একটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটানোর পর একটি পুলিশ ভ্যানে গুলি চালিয়েছে। হামলায় আরও ২ জন আহত হয়েছে। 

স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা খালিদ খান বলেছেন, সংসদ নির্বাচনের জন্য জেলায় নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারাও হতাহতদের মধ্যে রয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। 

বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণের সময় সারা দেশে সাময়িকভাবে মোবাইল পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। একটি রক্তক্ষয়ী নির্বাচনী প্রচারণার পর আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি, বুধবার অর্থাৎ ভোটের আগের দিন বেলুচিস্তান প্রদেশে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ৩০ জন নিহত হয়েছে।   

এদিকে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ করেছে ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি (পিটিআই)। এই নির্বাচনে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি বা পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে ২৬৬টি আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে অন্তত ৪৪টি রাজনৈতিক দল। ৩৩৬ আসনের সংসদে অতিরিক্ত ৭০টি আসন নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের চারটি প্রদেশের আইনসভার নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হয়েছে। একজন ভোটার জাতীয় আইনসভা এবং প্রাদেশিক পরিষদের জন্য একটি করে মোট দুটি ভোট দিয়েছেন।

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) জানিয়েছে, প্রায় ১৫০টি রাজনৈতিক দলের ২৮ হাজার ৬২৬ জন প্রার্থী সারা দেশে জাতীয় পরিষদ এবং প্রাদেশিক পরিষদের আসনগুলোর জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

পাকিস্তানি পত্রিকা ডন জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও কারাগারে বন্দী রাজনৈতিক নেতারা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোট দিয়েছেন। তবে ইমরানের স্ত্রী বুশরা বিবি ভোট দিতে পারেননি। তাকে গ্রেপ্তারের আগেই পোস্টাল ভোটের প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে।

এবারের নির্বাচনে পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তার নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন), সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই- ইনসাফ পাটি (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে একটি তীব্র ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট, আনাদোলু এজেন্সি