মেক্সিকো সিটিতে শুরু, নিউ জার্সিতে শেষ

ডিয়েগো ম্যারাডেনাার ‘হ্যান্ড অব গোল’ ফুটবলের ইতিহাসে স্মরণীয় এক মুহূর্ত। ছিয়াশির বিশ্বজয়ের নায়ক বহুল আলোচিত-সমালোচিত গোলটি করেছিলেন মেক্সিকোর সিটির দ্য আজটেকা স্টেডিয়ামে। বিখ্যাত সেই ভেন্যুতেই বেজে উঠবে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বাঁশি। আর শেষ বাঁশি বাজবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে।

ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো

প্রথমবারের মতো ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে সর্বোচ্চ ৪৮টি দল নিয়ে। টুর্নামেন্ট যৌথভাবে আয়োজন করবে উত্তর আমেরিকার তিন দেশ মেক্সিকো, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। ২০২৬ সালের ১১ জুন মেক্সিকো সিটিতে অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। ৩৯ দিনের বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী লড়াই ১৯ জুলাই।

রোববার রাতে ২০২৬ বিশ্বকাপের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে টুর্নামেন্টের অভিভাবক দেশ ফিফা। এর আগে ১৯৭০ ও ১৯৮৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করেছিল ফুটবলের এই মহা উৎসবের। যুক্তরাষ্ট্র আয়োজন করে ১৯৯৪ বিশ্বকাপ। দুটি দেশের জন্য ফুটবল মহাযজ্ঞ আয়োজনের অভিজ্ঞতা থাকলেও কাডানার জন্য এটাই প্রথম সুযোগ।

আগামী ১২ জুন টরোন্টোতে কানাডা তাদের দেশে ঐতিহাসিক প্রথম ম্যাচ আয়োজন করবে। একই দিন আসরের প্রথম ম্যাচ পাবে যুক্তরাষ্ট্র; সেটি লস অ্যাঞ্জেলেসে। সবমিলিয়ে তিন দেশের ১৬টি শহরে আয়োজন হবে বিশ্বকাপের। আসরের মোট ম্যাচ ১০৪টি। এটিই হতে যাচ্ছে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট।

১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে হাত দিয়ে গোল করেছিলেন ম্যারাডোনা। সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড বিদায় নেয় ২-১ গোলে হেরে। দ্য আজটেকার ভেন্যুটির ধারণক্ষমতা ৮৩ হাজার। ফাইনালের ভেন্যু নিউ জার্সির চেয়ে পাঁচ শ’ বেশি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপের অন্যতম ভেন্যু ছিল নিউ জার্সির মাঠটি। ম্যাচ পেয়েছে মিয়ামিও। এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে তৃতীয়স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।

কোয়ার্টার ফাইনালের চারটি ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস, কানাস সিটি, মিয়ামি ও বোস্টনে। সেমিফাইনালের দুটি ম্যাচই হবে যুক্তরাষ্ট্রে। ডালাস ও আটলান্টা আয়োজন করবে ফাইনালে ওঠার লড়াই। শেষ আট ও চারের কোনো ম্যাচ মেক্সিকো কিংবা কানাডা না পাওয়ায় ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

টুর্নামেন্টে ডালাস সর্বোচ্চ নয়টি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেয়েছে। আগামী বছরের শেষ দিকে বিশ্বকাপের ড্র হওয়ার কথা রয়েছে।