পাক সেনাপ্রধানের হুঁশিয়ারি, কাউকে সহিংসতা করতে দেওয়া হবে না

পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নামে কাউকে সহিংসতায় লিপ্ত হতে এবং আসন্ন নির্বাচনকে ব্যাহত করার যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে কঠোর সতর্কতা জারি করেছেন। ৩১ জানুয়ারি, বুধবার দেশটির ইন্টার-সার্ভিস পাবলিক রিলেশনসের (আইএসপিআর) জারি করা এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

সৈয়দ আসিম মুনির

আইএসপিআর এর বিবৃতি অনুসারে, সেনাপ্রধান (সিওএএস) জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির বুধবার রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা বাহিনীর জেনারেল হেডকোয়ার্টার্সে অনুষ্ঠিত কর্পস কমান্ডারস কনফারেন্সে (সিসিসি) সভাপতিত্ব করেন।

তিনি শান্তিপূর্ণ আসন্ন নির্বাচন পরিচালনায় পাকিস্তান নির্বাচন কমিশনকে (ইসিপি) সহায়তা করার জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়েও আলোচনা করেছেন।

আসিম মুনির বলেছেন, ‘পাকিস্তান সেনাবাহিনী ইসিপির নির্দেশিকা অনুসারে সাংবিধানিক আদেশ অনুযায়ী অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। কাউকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের নামে সহিংসতায় লিপ্ত হতে দেওয়া হবে না। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনার সর্বজনীন গণতান্ত্রিক অনুশীলনে বাধা দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হবে না।

পাকিস্তানে সম্প্রতি গ্রেনেড এবং বন্দুক হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাপ্রধানের কাছ থেকে এই বার্তাটি এসেছে। এ ধরনের পরিস্থিতির ফলে আসন্ন নির্বাচনে দেশব্যাপী নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখাওয়া এবং বেলুচিস্তানে। এই দুই প্রদেশে প্রার্থী এবং নির্বাচনী সমাবেশকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে যা নির্বাচনী কার্যক্রমকে প্রভাবিত করছে। এর ফলে ১২৮ মিলিয়নের বেশি ভোটারদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। 

সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং বলেছে, সন্ত্রাসবাদীরা, তাদের সহায়তাকারী এবং প্ররোচনাকারীরা যারা পাকিস্তানকে অস্থিতিশীল করার জন্য শত্রু শক্তির নির্দেশে কাজ করছে, তাদের রাষ্ট্রের পূর্ণ শক্তির সঙ্গে মোকাবিলা করা হবে।

পাক সেনাপ্রধান বলেছেন, ‘পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা পবিত্র এবং অলঙ্ঘনীয়। পাকিস্তান সকল রাষ্ট্রের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাস করে। তবে দেশের সার্বভৌমত্ব, জাতীয় সম্মান এবং পাকিস্তানি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কখনোই কোনো আপস করা হবে না।

উল্লেখ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের নির্বাচনে জেলবন্দী পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খানকে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।

সূত্র: জিও টিভি