লোহিত সাগরে নৌ মিশন শুরুর পরিকল্পনা ইইউর

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) লোহিত সাগরে একটি নৌ মিশন শুরু করার পরিকল্পনা করেছে। ৩১ জানুয়ারি, বুধবার ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইয়েমেনের হুথিদের আক্রমণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে রক্ষা করার লক্ষ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

জোসেপ বোরেল

জোসেপ বোরেল বলেছেন, ১৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনি এই মিশনটি চালু করতে চান।

ইইউর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই জোটের সাতটি দেশ এই মিশনের জন্য জাহাজ বা বিমান সরবরাহ করতে প্রস্তুত আছে। বেলজিয়াম ইতোমধ্যেই একটি ফ্রিগেট পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জার্মানিও তাই করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বোরেল জানিয়েছেন, ইইউর এই মিশনের নাম দেওয়া হবে ‘অ্যাসপিডস’। গ্রীক এই শব্দটির অর্থ ঢাল বা রক্ষাকারী। লোহিত সাগরে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া এবং হামলা প্রতিরোধ করা এই মিশনের লক্ষ্য। তবে এটি হুথিদের বিরুদ্ধে হামলায় অংশ নেবে না।

ব্রাসেলসে ইইউ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের একটি বৈঠকে সভাপতিত্ব করার আগে বোরেল সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এই মিশনের উদ্দেশ্য হলো, জাহাজের সুরক্ষা। জাহাজের বিরুদ্ধে আক্রমণকে বাধা দেওয়া। হুথিদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ না করা। শুধুমাত্র হুথিদের আক্রমণকে বাধা দেওয়া।' 

কোন দেশের নেতৃত্বে এই মিশন পরিচালিত হবে এবং মিশনের সদর দপ্তর কোথায় থাকা উচিত- এই বিষয়গুলো নিয়ে ইইউ প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে আলোচনা চলছে। ফ্রান্স, গ্রীস এবং ইতালি এই নৌ মিশনের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। 

এদিকে গত ডিসেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশ লোহিত সাগরে হুথিদের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য একটি জোট গঠন করেছিল। তবে স্পেনসহ কিছু মার্কিন মিত্র এই জোটে অংশ নিতে আপত্তি জানায়। এরপর ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যস্থলে হামলা করে। গত সপ্তাহে, মার্কিন ও ব্রিটিশ বাহিনী ইরান সমর্থিত এই বিদ্রোহী গোষ্ঠীর ৮ টি ঘাঁটিতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে।   

উল্লেখ্য, ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পর গাজায় গণহত্যা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। গাজাবাসীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করে নভেম্বর মাস থেকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী ইসরায়েলি মালিকানাধীন অথবা ইসরায়েলগামী জাহাজে হামলা শুরু করে হুথিরা।

সূত্র: দ্য নিউ আরব