এবার দুর্নীতি মামলায় ইমরান খানের ১৪ বছর জেল

এবার দুর্নীতির এক মামলায় ১৪ বছর কারাদণ্ড পেয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন মামলায় ১০ বছর কারাদণ্ডের একদিনের মাথায় দ্বিতীয়বার কারাদণ্ডের শিকার হলেন বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ক্রিকেটতারকা। দুর্নীতির মামলায় তার স্ত্রী বুশরা বিবিকেও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন পাকিস্তানের আদালত। খবর বিবিসি ও ডনের।

তোশাখানার দ্বিতীয় মামলায় ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির ১৪ বছর কারাদণ্ড

পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালত( কোর্ট অব অ্যাকাউন্টিবিলিটি) আজ বুধবার রায়ে তোশাখানা দুর্নীতির এক মামলায় ইমরান খানকে১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছর জেল এবং উভয়কে ১৫০ কোটি রুপি করে জরিমানা করা হয়েছে।

এটি তোশাখানা ইস্যুতে দ্বিতীয় মামলা। এ মামলার অভিযোগে জানা গেছে, সৌদি আরবের যুবরাজ  স্বর্ণের হার উপহার দিয়েছিলেন, যা অতি কম মূল্য দেখিয়ে হস্তগত করেছেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা।

এ নিয়ে তৃতীয় দফায় কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন ইমরান খান। এর আগে মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন (সাইফার) লঙ্ঘন মামলায় তাকে ১০ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তার আগে গত বছর আগস্টে তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় তিন বছরের সাজাপ্রাপ্ত হন ইমরান খান।

যদিও এসব মামলা ও সাজাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে আখ্যায়িত করেছেন ইমরান খান ও তার দল পিটিআই। তাদের দাবি, জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে ইমরানকে দুরে রাখতেই এসব সাজা দেওয়া হচ্ছে।

পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটের মুখে পড়ে ২০২২ সালে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন ইমরান। এরপরই তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা হতে থাকে।

ইমরানের অভিযোগ, তাকে দেশটির সেনাবাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। এ নিয়ে সরকারি একটি তারবার্তা ফাঁস করে দেওয়ার প্রচেষ্টার অভিযোগে মামলায় মঙ্গলবার তাকে ১০ বছরের জেল দেওয়া হয়।

গত বছর আগস্টে তোশাখানা দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তারের পর থেকে আদিয়ালা কারাগারে রয়েছেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। দুই মামলার সাজার রায় যুগপৎ কার্যকর হবে।