ইসরায়েলিদের পক্ষে লড়াইয়ে অনুমতি, পেরুর নিন্দায় ফিলিস্তিন

চলমান গাজা যুদ্ধে নিজ দেশের নাগরিকদের ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ করার অনুমতি দেওয়ার কারণে পেরুর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়। খবর আনাদোলু।

গাজা

খবরে বলা হয়, গত বুধবার বিষয়টির সূত্রপাত হয়। সেদিন গাজায় ইসরায়েলিদের হয়ে যদ্ধ করতে গিয়ে নিহত পেরুর এক সৈন্যের নিহত হওয়ার ঘটনায় সমবেদনা জানায় পেরুর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তার অফিসিয়াল অ্যাকাউন্টে একটি বার্তায় জানায়, একজন পেরু-ইসরায়েলি নাগরিক, ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে রিজার্ভ হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে থাকা ইউভাল লোপেজের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে পেরুর সরকার।

এদিকে এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পেরুর পক্ষ থেকে এই বিবৃতি মূলত গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে ইসরায়েলিদের চালানো গণহত্যায় তার নাগরিকদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া। ফিলিস্তিন আশা করে, এরকমভাবে যারা ইসরায়েলি নাগরিকত্ব ব্যবহার করে যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে, পেরুর সরকার তাদের প্রতি শোক জানানো এবং প্রশংসা করার পরিবর্তে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল করবে।

বিধ্বস্ত গাজা

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে আরও জানায়, মানবতা, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে কোনো দেশের প্রকৃত অবস্থান নির্ধারণের জন্য এই সময়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সময়ে যারা নিজ দেশের পাশাপাশি ইসরায়েলের নাগরিকত্ব নিয়েছে এবং যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে তাদের ব্যাপারে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে সব দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। গাজার এই আগ্রাসনে ইসরায়েলি বাহিনীর হয়ে অংশ নেওয়ার অর্থ তারা ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সরাসরি অস্ত্র ধরছে।

ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিতে পেরুর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) ইসরায়েলকে এ গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানায়। কিন্তু তাতে কোনো ভ্রুক্ষেপ না করে ইসরায়েল তার হামলা অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত তাদের হামলায় ২৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৬৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।