ইসরায়েলের দাবি: ইউরোপে হামলা চালাতে পারে হামাস

ইসরায়েল দাবি করছে, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপে নাকি হামলা চালাতে পারে হামাস। ডেনমার্ক ও জার্মানিতে সাত সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে। এ বিষয়ে তাদের কাছে উল্লেখযোগ্য তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

ইসরায়েল

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় হামলার শুরু থেকেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এ লড়াই আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে, আঞ্চলিক যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। এ শঙ্কায় ইসরায়েলকে গাজায় হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা। কিন্তু ইসরায়েল এতে কোনো ধরনের ভ্রুক্ষেপ করেনি।

তবে সম্প্রতি ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, হামাস মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপে হামলা চালানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। তারা বিভিন্ন দেশে নিরাপরাধ ব্যক্তিদের ওপর হামলা চালানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এ ব্যাপারে তথ্য প্রমাণ যোগাড় করেছে। ডেনিশ ও জার্মান কর্তৃপক্ষ ইউরোপে বেসামরিক নাগরিকদের আক্রমণ করার জন্য সন্দেহভাজন সাতজনকে গ্রেপ্তার করার পর ইসরায়েলে এ বিবৃতি দেয়।

হামাস

ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থাগুলো দাবি করে, তাদের কাছে হামাসের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের একটি বিস্তৃত চিত্র রয়েছে। যাতে তাদের কর্মক্ষেত্র, হামলার লক্ষ্যবস্তু এবং কার্যকলাপ বাস্তবায়নের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের বিবরণ, বিভিন্ন দেশে ইসরায়েলে দূতাবাসে হামলাসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য রয়েছে।

ইসরায়েল দাবি করে, হামাসের সন্ত্রাসী উদ্দেশ্যগুলোকে ব্যর্থ করার জন্য মোসাদ, আইডিএফসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন সংস্থা আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ও প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে একত্রে কাজ করবে। ইসরায়েলি রাষ্ট্র ও ইহুদি জনগণের নিরাপত্তার পক্ষে বিশ্বের সর্বত্র তারা হামাসের মোকাবেলা করবে। তারা দবি করে, হামাস ইরানের বৈশ্বিক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এ কাজ করছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে ১০০ দিন ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু দাবি করেছিলেন, হামাসকে নিশ্চিহ্ন না করা পর্যন্ত তাদের অভিযান থামবে না। তিনি দাবি করেন, হামাসকে ধ্বংস করার ক্ষেত্রে কেউ আমাদের বাধা দেবে না। আমাদের ঠেকাতে পারবে না। এমনকি সিরিয়া, ইরাক ও ইয়েমেনে ইরানের মদদপুষ্ট ‘প্রতিরোধের অক্ষ’ গোষ্ঠীও আমাদের থামাতে পারবে না।

উল্লেখ্য, গাজায় ১০০ দিনের হামলায় এ পর্যন্ত প্রায় ২৪ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে ৬০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক।