তুরস্কের বিরুদ্ধে ইরানের মেঘ চুরি অভিযোগ

ইরানের জনগণ প্রতিবেশী দেশ তুরস্কের বিরুদ্ধে মেঘ চুরির অভিযোগ তুলেছে। তারা বলছেন, তুরস্কের আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে ইরানের মেঘগুলোকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এতে ইরানে ব্যাপক খরা দেখা দিয়েছে।

তুরস্কের বিরুদ্ধে মেঘ চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ছবিতে দেখা গেছে, তুরস্কের অংশে মেঘলা আকাশ এবং বরফে ঢাকা পাহাড়ের চূড়ার দেখা মিলছে। কিন্তু পার্শ্ববর্তী দেশ ইরানে এর কিছুই দেখা যাচ্ছে না। দুই দেশের মধ্যে বৃষ্টিপাত ও তুষারপাতসহ আবহাওয়ার সামগ্রিক তারতম্যের জন্য ইরানিদের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।

ইরানিরা বলছেন, নিকটতম প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে জলবায়ুর এত পার্থক্য মোটেও স্বাভাবিক নয়। লাগোয়া সীমান্ত হওয়া সত্ত্বেও এক পাশে তুরস্কের আকাশে মেঘের ঘনঘটা আর তার পাহাড়-পর্বতগুলো তুষারে ঢাকা। কিন্তু ইরানের আকাশে মেঘের কোনো দেখা নেই। বরং পুরো দেশে চলছে ব্যাপক খরা।

ইরানের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে এখন খরা চলছে

ফলে তারা দাবি করছেন, তুরস্কের লোকজন কোনো না কোনোভাবে ইরানের মেঘ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তারা এ অপকর্ম করছে।

মূলত ক্লাউড সিডিংয়ের মাধ্যমে মেঘ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে সেটি সাধারণত বৃষ্টিপাতের জন্য ব্যবহৃত হয়। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মেঘ সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এ প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা তেমন শোনা যায়নি।

ইরানের এমন অভিযোগ অবশ্য এবারই প্রথম নয়। এর আগে তারা দেশটির জলবায়ুতে পরিবর্তন এবং মেঘ ও তুষার চুরির জন্য ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দায়ী করেছিল। কয়েক বছর আগে ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমেদিনেজাদও এ ধরনের অভিযোগ করেছিলেন। তিনি অবশ্য সে সময় কোনো দেশের নাম উল্লেখ না করে বলেছিলেন, শত্রুরা চক্রান্ত করে ইরানের মেঘগুলোকে ধ্বংস করছে বা সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে তার দেশেরই আবহাওয়া অধিদপ্তর ও অন্যান্য পরিবেশ সংক্রান্ত সংগঠন এ অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছিল।