মুইজ্জুর হুংকার: আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স কারও নেই

নয়াদিল্লির সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে মুখ খুলেছেন মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু। এক সংবাদ সম্মেলনে কারও নাম উল্লেখ না করেই তিনি বলেন, আমরা ছোট হতে পারি, কিন্তু আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স কারও নেই। খবর হিন্দুস্তানটাইমস।

মোহাম্মদ মুইজ্জু

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ব্যাপারে মালদ্বীপের তিন মন্ত্রীর অবমাননাকর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে অবনতি ঘটে। এক পর্যায়ে মালদ্বীপ সরকার ওই তিন মন্ত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়। কিন্তু তারপরও বিষয়টি নিয়ে দুই দেশের মধ্যে তিক্ততা ক্রমেই বেড়ে চলছে। এমন পরিস্থিতিতে পাঁচ দিনের চীন সফর শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ মুইজ্জু এ ব্যাপারে কথা বলেন।

তিনি বলেন, যদিও আমাদের দ্বীপগুলো ছোট ছোট, কিন্তু আমাদের কাছে নয় লাখ বর্গ কিলোমিটারের একটি বিশাল একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। ভারত মহাসাগরের সবচেয়ে বড় অংশের দেশগুলোর অন্যতম মালদ্বীপ। আর এই মহাসাগরটিও কোনো নির্দিষ্ট দেশের অন্তর্গত নয়। ফলে মহাসাগরটিতে এর মধ্যে অবস্থিত সমস্ত দেশের অংশ রয়েছে।

মালদ্বীপ

তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের নিজেদের জায়গাতেই অবস্থান করছি। আমরা কারও বাড়ির উঠোনে নেই। আমরা একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমরা ছোট হতে পারি। কিন্তু এ বিষয়টি কাউকে আমাদের ধমক দেওয়ার লাইসেন্স দেয় না।

মালদ্বীপের অন্যতম প্রধান মিত্র চীন জানিয়েছে, তারা মালদ্বীপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বহিরাগত হস্তক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে এবং দ্বীপরাষ্ট্রটির সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতাকে সমর্থন করে।

এক যৌথ বিবৃতিতে চীন ও মালদ্বীপ জানায়, দুই পক্ষ নিজ নিজ স্বার্থরক্ষায় একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন অব্যাহত রাখতে সম্মত হয়েছে। চীন দৃঢ়ভাবে মালদ্বীপের জাতীয় সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও জাতীয় মর্যাদাকে সম্মান ও সমর্থন করে।

চীন সফরকালে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট বেইজিংকে আরও বেশি পর্যটক পাঠানোর অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, কোভিডের আগে চীন আমাদের এক নম্বর বাজার ছিল। চীনের এই অবস্থান পুনরুদ্ধারের জন্য আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।

মোহাম্মদ মুইজ্জুর এই সফরে ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব (২০২৪-২৮) গড়ে তোলার কর্ম পরিকল্পনা এবং বেল্ট অ্যান্ড রোডের মতো ক্ষেত্রে সহযোগিতাসহ ২০টি চুক্তি সই করেছে চীন ও মালদ্বীপ।