রাতেই শুরু হচ্ছে সালাহ-মানেদের যুদ্ধ

নতুন বছরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ঠাসা সূচি আছে। যার শুরুটা হচ্ছে আফ্রিকান নেশনস কাপ দিয়ে। আজ রাতেই যে পর্দা উঠবে আফ্রিকান ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ের। যেখানে শিরোপা ধরে রাখতে লড়বে সাদিও মানের সেনেগাল। তাদের রাজত্ব গুঁড়িয়ে দিতে চায় মোহাম্মদ সালাহর মিশর ও আশরাফ হাকিমির মরক্কো।

রিয়াদ মাহরেজ, সাদিও মানে ও মোহাম্মদ সালাহ

২০২১ সালে ফাইনালে সালাহর মিশরের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল মানের সেনেগালের কাছে হেরে। তিন বছর আগের আসরে ফেভারিট ছিল ওই দুটি দলই। এবার অবশ্য লড়াইটা বেশ উন্মুক্ত। শিরোপার দাবি জানিয়ে রেখেছে বেশ কয়েকটি দল। আফ্রিকান তথ্য সমৃদ্ধ একটি সংস্থার পরিসংখ্যান, বলছে এবার সব দলেরই সুযোগ আছে।

ক্লাব ফুটবলে ইংলিশ জায়ান্ট লিভারপুলের জার্সিতে সম্ভাব্য সবকিছুই জিতেছেন সালাহ। কিন্তু জাতীয় দল মিশরকে এখনও কিছু দিতে পারেননি তিনি। সেই আক্ষেপের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পরপর দুটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে হার। ২০১৭ সালেও আফ্রিকান নেশনস কাপের শিরোপা হাতছোঁয়া দূরত্বে রেখে এসেছিলেন এই ফরওয়ার্ড।

প্রতিযোগিতার ফাইনালে সালাহর প্রথম হারটি ছিল ক্যামেরুনের বিপক্ষে। এরপর সেনেগালের কাছে। এবার দুঃখ ঘুচবে তার? এই আসর যে উন্মুক্ত। শিরোপা দৌড় থেকে কাউকেই ছিটকে দেওয়ার উপায় নেই। বাংলাদেশ সময় আজ রাত ২টায় টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আইভরি কোস্ট মুখোমুখি হবে গিনি বিসাউর। আগামীকাল শুরু হবে সালাহদের মিশন।

প্রথম ম্যাচে মিশর প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে তুলনামূলক দুর্বল দল মোজাম্বিককে। একই একই দিন ঘানার প্রতিপক্ষ সাবেক চ্যাম্পিয়ন কেপ ভার্দে। সালাহ-মানেদের মতো বাজির দরে শীর্ষে আছে মরক্কো। যারা কিনা ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে চমকে দিয়েছিল। মঙ্গলবার প্রথম ম্যাচে হাকিমি-জিয়াচরা মোকাবেলা করবে তানজানিয়াকে।

সম্ভাবনা আছে রিয়ার মাহরেজের আলজেরিয়ার ও সাবেক চ্যাম্পিয়ন তিউনিশিয়ার। সোমবার আলজেরিয়ার প্রথম ম্যাচ অ্যাঙ্গোলার সঙ্গে। পরদিন তিউনিশিয়ার লড়বে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে টুর্নামেন্টের ৩৪তম আসরে অংশ নিচ্ছে ২৪টি দল। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি আবিজানে নেশনস কাপের ফাইনাল। টুর্নামেন্টের স্বাগতিক ফেভারিট আইভরি কোস্ট।

আফ্রিকান নেশনস কাপ গ্রুপিং:

গ্রুপ-এ: আইভরি কোস্ট, নাইজেরিয়া, বিষুবীয় গিনি ও গিনি বিসাউ।
গ্রুপ-বি: মিশর, ঘানা, কেপ ভার্দে ও মোজাম্বিক।
গ্রুপ-সি: সেনেগাল, ক্যামেরুন, গিনি ও গাম্বিয়া।
গ্রুপ-ডি: আলজেরিয়া, বুরকিনা ফাসো, মৌরিতানিয়া ও অ্যাঙ্গোলা।
গ্রুপ-ই: তিউনিশিয়া, মালি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নামিবিয়া।
গ্রুপ-এফ: মরক্কো, কঙ্গো, জাম্বিয়া ও তানজানিয়া।