পেশাদার ফুটবলে সম্ভাব্য প্রায় সবকিছুই জিতেছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু একটা শিরোপার স্বাদ এখনও পাননি তিনি। সেই আক্ষেপ নিয়েই হয়ত ক্যারিয়ার শেষ করা লাগতে পারে ইন্টার মিয়ামির আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের। একটু বিস্ময় হলেও এটাই সত্যি। বর্ণিল ক্যারিয়ারে একবারের জন্য হলেও গোল্ডেন ফুট জিততে পারেননি মেসি।

leonel messi qatar world cup 1বিস্ময়কর হলেও এখন পর্যন্ত গোল্ডেন ফুট জিততে পারেননি লিওনেল মেসি

বিশেষ এই পুরস্কারে বয়স একটা মানদণ্ড। কারণ, ২৮ বছরের নিচে কোনো ফুটবলারকে এই ট্রফি দেওয়া হয় না। এই খেতাব জিতেছেন রবার্তো ব্যাজ্জিও, রোনালদিনহো, ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ, মোহাম্মদ সালাহর মতো তারকারা। মেসির মতো ইংল্যান্ডের কোনো ফুটবলারও গোল্ডেন ফুট কখনো জিততে পারেননি। যেটি ইংলিশদের বড় আক্ষেপ।

আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সাংবাদিকদের ভোটাভুটিতে প্রতি বছর দেওয়া হয় গোল্ডেন ফুট। প্রাথমিকভাবে ১০ জনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। মেসি অবশ্য আগেও মনোনয়ন পেয়েছিলেন। কিন্তু চূড়ান্ত সাফল্য আসেনি। ২০০৩ সালে এই পুরস্কার প্রচলনের পর ২০ জন গোল্ডেন ফুট জিতেছেন। কিন্তু দ্বিতীয়বার এটি জয়ের সুযোগ পাননি কোনো ফুটবলার।

মেসি এতদিনেও কেন গোল্ডেন ফুট জিততে পারেনি এটা বড় বিস্ময়ের। তাই বলে এখনও যে তার এটা জয়ের সম্ভাবনা নেই এমনটি নয়। ২০২৩ সালের গোল্ডেন ফুট জয়ের দৌড়ে আছেন মেসি। এই লড়াইয়ে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটির বেলজিয়ান মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইনে। লড়াইয়ে আছেন রিয়াল মাদ্রিদের জার্মান প্লে-মেকার টনি ক্রুস।

এই খেতাব পাওয়া বেশির ভাগ ফুটবলারের বয়সই ছিল ত্রিশের বেশি। প্রথমবার এটা জেতেন ব্যাজ্জিও। ৩৬ বছর বয়সী এই ইতালিয়ান সিরি’এ লিগে ব্রেসিয়ার হয়ে ১২ গোল করেছিলেন। সেটিরই স্বীকৃতিবাবদ গোল্ডেন ফুট পেয়েছিলেন তিনি। সর্বোচ্চ চারবার গোল্ডেন ফুট জিতেছেন জুভেন্টাসের ফুটবলাররা। তারা হলেন পাভেল নেদভেদ, আলেসান্দ্রো ডেল পিয়েরো, জিয়ানলুইজি বুফন ও রোনালদো।

সবচেয়ে ‘বুড়ো’ হিসেবে গোল্ডেন ফুট পেয়েছিলেন বুফন। পুরস্কার জয়ের সময় এই কিংবদন্তি গোলরক্ষকের বয়স ছিল ৩৮ বছর। শুধু তাই নয়, একমাত্র গোলকিপার হিসেবে এটি জয়ের নজির গড়েছেন তিনি। মূলত ২৮ বছর পার হওয়ার পরও প্রবল দাপটের সঙ্গে পারফর্ম করতে পারা ফুটবলাররাই এটি জয়ের জন্য বিবেচিত হয়ে থাকেন।

গোল্ডেন ফুট জয়ীদের তালিকা:

২০০৩: রবার্তো ব্যাজ্জিও (জুভেন্টাস)
২০০৪: পাভেল নেদভেদ (জুভেন্টাস)
২০০৫ আন্দ্রে শেভচেঙ্কো (এসি মিলান)
২০০৬ রোনালদো নাজারিও (রিয়াল মাদ্রিদ)
২০০৭ আলেসান্দ্রো ডেল পিয়েরো (জুভেন্টাস)

২০০৮ রবার্তো কার্লোস (ফেনারব্যাচ)
২০০৯: রোনালদিনহো (এসি মিলান)
২০১০: ফ্রান্সিসকো টট্টি (এএস রোমা)
২০১১: রায়ান গিগস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)
২০১২: জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ (পিএসজি)

২০১৩: দিদিয়ের দ্রগবা (গালাতাসারাই)
২০১৪: আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা (বার্সেলোনা)
২০১৫: স্যামুয়েল ইতো (আন্টালিয়াস্পর)
২০১৬: জিয়ানলুইজি বুফন (জুভেন্টাস)
২০১৭: ইকার ক্যাসিয়াস (পোর্তো)

২০১৮: এডিনসন কাভানি (পিএসজি)
২০১৯: লুকা মডরিচ (রিয়াল মাদ্রিদ)
২০২০: ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (জুভেন্টাস)
২০২১: মোহাম্মদ সালাহ (লিভারপুল)
২০২২: রবার্ট লেভানডফস্কি (বার্সেলোনা)

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.