সংবাদ সম্মেলনে ছুরি হামলার শিকার বিরোধীদলীয় নেতা

হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই ছুরি হামলার শিকার হয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী লি জায়ে-মিউং। বন্দর শহর বুসানে মঙ্গলবার সকালে তাকে ছুরিকাঘাত করে এক ব্যক্তি। ঘটনাস্থল থেকে হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। খবর বিবিসির।

সংবাদ সম্মেলনের মধ্যেই ছুরি হামলার শিকার হয়েছেন লি জায়ে মিউং

কোরিয়ার অন্যতম বিরোধীদল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা লি জায়ে-মিউং ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে খুব কম ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলেন।

মঙ্গলবার সকালে বুসানে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় হঠাৎএক ব্যক্তি অটোগ্রাফ নেওয়ার বাহানা করে তার কাছে যান। আক্রমণকারী লোকটি মঞ্চে ওঠে তার ঘাড়ের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা হামলার ভিডিওতে দেখা যায়, ছুরিকাঘাতের শিকার লি ভিড়ের মধ্যে মাটিতে পড়ে যান, অন্যদিকে বেশ কয়েকজন আক্রমণকারীকে আরও ছুরিকাঘাত থেকে আটকানোর চেষ্টা করছেন।

সিউলের সরকারি সংবাদ সংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, তাৎক্ষণিক লিকে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, তার ক্ষত খুব বেশি মারাত্মক নয়।

ডেমোক্রেটিক পার্টির মুখপাত্র চিল সুং বলেন, লির ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি আমরা এবং এটাকে গণতন্ত্র ধ্বংসের একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত বলে মনে করছি।

সুং জানান, লিকে সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা তার দ্রুত অপারেশন করার পরিকল্পনা করেছেন।

৫৯ বছর বয়সী লি বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনসভার সদস্য। এর আগে তিনি সিউলের দক্ষিণে ১০লাখ জনসংখ্যার শহর সিওংনামের মেয়র ছিলেন।

তিনি ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাত্র ০.৭৩ শতাংশ ভোটের ব্যবধানে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইয়লের কাছে হেরেছিলেন। কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে কম ভোটের ব্যবধান।

আগামী ২০২৭ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেবেন বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজনীতিবিদদের ওপর অতীতেও অস্ত্র দিয়ে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ২০০৬ সালে রক্ষণশীল দলের নেতা পার্ক গিউন-হাইকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল। পরে তিনি প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন।