দিপুর সেঞ্চুরি ম্লান, চ্যাম্পিয়ন উত্তরাঞ্চল

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের ১১তম আসর। ফাইনালে সেঞ্চুরি করে শুরুটা রাঙিয়ে দিয়েছিলেন শাহাদাত হোসেন দিপু। কিন্তু দিপুর সেঞ্চুরিকে ম্লান করে উত্তরাঞ্চলকে শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতান প্রীতম কুমার ও আকবর আলী।

নাহিদ রানাকে ঘিরে উত্তরাঞ্চলের উল্লাস

২৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ সামনে রেখে ওপেনিংয়ে আসেন উত্তরাঞ্চলের দুই তরুণ ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও হাবিবুর রহমান সোহান। গত ম্যাচে রেকর্ড সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া হাবিবুর আজও শুরুটা করেছিলেন আগ্রাসী ভঙ্গিমায়। কিন্তু মাত্র ১৭ রানেই সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। দলীয় ৮৮ রানে তামিম সাজঘরে ফিরলে ফিকে হয়ে যায় উত্তরাঞ্চলের শিরোপা জয়ের স্বপ্ন।

সেখান থেকে দলকে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখান প্রীতম কুমার ও তাইবুর রহমান। দুজনের অসাধারণ ৯০ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে উত্তরাঞ্চল। দলীয় ১৭৮ রানে তাইবুর আউট হলেও দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে থাকেন প্রীতম। ষষ্ঠ উইকেটে প্রীতমকে দারুণ সঙ্গ দেন আকবর আলী।

ম্যাচে দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন প্রীতম। প্রিতমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ের দিনে পিছিয়ে ছিলেন না আকবর আলীও। অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৫৫ বলে ফিফটি তুলে নেন আকবর। কিন্তু এরপরই বিপত্তি বাঁধে উত্তরাঞ্চলের। ৭৬ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন প্রীতম। শেষ পর্যন্ত আকরব আলীর ৫৩ ও শেষ মুহূর্তে নাহিদুলের ১৩ রানে ভর করে ৩৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটের জয় পায় উত্তরাঞ্চল।

এর আগে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় পূর্বাঞ্চল। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো না হলেও শাহাদাত হোসেন দিপুর অসাধারণ ১১৩ রানের সঙ্গে পারভেজ হোসেন ইমনের ৭৩ ও ইরফান শুক্কুরের ৩৬ রানে ভর করে ২৭৫ রানের সংগ্রহ পায় পূর্বাঞ্চল। উত্তরাঞ্চলের বোলারদের পক্ষে একাই ৫ উইকেট শিকার করেন পেসার নাহিদ রানা।