মিশরে বায়তুল মোকাররমের ইমামকে বিশেষ সম্মাননা

মিশরের কায়রোতে ৩০তম আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নতুন প্রশাসনিক রাজধানী কায়রোর ইসলামিক কালচারাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য আয়োজনে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। তিনি প্রতিযোগিতায় বিচারক প্যানেলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

মাওলানা মিজানুর রহমানকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান

মিশরের আওকাফ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে গত ২৩ ডিসেম্বর কায়রোতে এ প্রতিযোগিতা শুর হয়। মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ সিসির পৃষ্ঠপোষকতা আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন আওকাফ মন্ত্রী শায়খ ড. মুহাম্মদ মুখতার জামআহ। প্রতিযোগিতায় ৬০টি দেশের ৯৬ জন প্রতিযোগী অংশ নেন। বুধবার ছিল সে প্রতিযোগিতার সমাপনী দিন। ওই দিন ছয়টি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মোট ৮৫ লাখ পাউন্ড পুরস্কার দেওয়া হয়।

প্রথম ক্যাটাগরিতে (তাজবিদ, তাফসির, অর্থসহ পুরো কোরআন হিফজ) প্রথম স্থান অধিকার করেন মিশরের মুহাম্মদ শাবান আবদুল্লাহ। এছাড়া দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে মিশরের আসমা ইউনুস ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফাতেমা ইবরাহিম।

আন্তর্জাতিক কোরআন প্রতিযোগিতা

দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে (অনারবদের জন্য তাজবিদসহ পুরো কোরআন হিফজ) প্রথম হন নাইজারের উবায়দুল্লাহ আবু বকর। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে ঘানার আনোয়ার ইবরাহিম ও নরওয়ের নাদিয়া সায়িদ। এ বিভাগে অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশি প্রতিযোগী মো. মুতাসিম বিল্লাহ ও আবু ইউসুফ। মুতাসিম ষষ্ঠ ও আবু ইউসুফ ১১তম স্থান অধিকার করেন।

তৃতীয় ক্যাটাগরিতে (শিশুদের জন্য শব্দের অর্থ বোঝাসহ পুরো কোরআন হিফজ এবং সুরা ইউসুফের তাফসির) প্রথম হন মাহমুদ মুহাম্মদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে মুহাম্মদ ওয়ায়েল আহমদ ও হানিন আবদুল মুয়িজ।

চতুর্থ ক্যাটাগরিতে (অনূর্ধ্ব ৪০ বছর বয়সী ইমাম ও শিক্ষকদের জন্য তাজবিদ, তাফসির ও উদ্দেশ্য বোঝাসহ পুরো কোরআন হিফজ) প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে ওমানের আবদুল্লাহ বিন সায়িদ ও মিশরের আহমদ শাহাতাহ।

পঞ্চম ক্যাটাগরিতে (বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য অর্থ ও উদ্দেশ্য বোঝাসহ পুরো কোরআন হিফজ) প্রথম স্থান লাভ করেন ইউসুফ সাইয়িদ আবদুল মুতি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেন যথাক্রমে ইমান ওয়ায়েল ও মুহাম্মদ আবদুল করিম।

ষষ্ঠ ক্যাটাগরিতে (কোরআনের পরিবারের সদস্যদের জন্য অর্থ ও উদ্দেশ্য বোঝাসহ পুরো কোরআন হিফজ) প্রথম স্থান অধিকার করেন সাআদ মুহাম্মদ সাআদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে ছিলেন যথাক্রমে মাহমুদ আহমদ মাহমুদ ও আবদুল ফাত্তাহ আবদুল হামিদ।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওকাফবিষয়ক মন্ত্রী ড. মুহাম্মদ জামআহ। তিনি জানান, আগামী বছর এ প্রতিযোগিতায় পুরস্কারের পরিমাণ বাড়িয়ে ১০ মিলিয়ন মিশরীয় পাউন্ড করা হবে। যার মধ্যে এক মিলিয়ন বরাদ্দ থাকবে কেবল বিচারকদের জন্য।