ভয়াবহ বিমান হামলা, ইউক্রেনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করল ইইউ

ইউক্রেনজুড়ে ২৯ ডিসেম্বর, শুক্রবার রাশিয়ার এযাবতকালের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলায় ৩১ জন নিহত হয়েছে। এই হামলার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইউক্রেনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে। ইইউ জানিয়েছে, যতদিন প্রয়োজন ততদিন তারা ইউক্রেনকে সমর্থন করে যাবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকা

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এক্সে বলেছেন, ‘রাশিয়া রাতভর ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর এবং জনগণকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। দেশটিতে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এটিই সবচেয়ে বড় আক্রমণগুলোর একটি ছিল।' 

বোরেল আরও বলেছেন, 'এটি ছিল রাশিয়ার আরেকটি কাপুরুষোচিত হামলা। তারা স্কুল, একটি মেট্রো স্টেশন এবং একটি হাসপাতালকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। নির্বিচারে বোমা হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন মারা গেছে এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।'   

আরেকটি পৃথক পোস্টে বোরেল জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবার সঙ্গে কথা বলেছেন। ২০২৪ সালে রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনে অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। এছাড়া এই যুদ্ধে ইউক্রেনের প্রতি ইইউর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।  

ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান বলেছেন, ‘স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য ইউক্রেনের লড়াই একটি যৌথ লড়াই। আমরা সবাই এই লড়াইয়ে শামিল আছি।' 

শুক্রবার ইউক্রেনজুড়ে প্রায় ১১০টি ক্ষেপণাস্ত্র এবং অসংখ্য ড্রোন হামলা করেছে রাশিয়া। স্থানীয় সময় সকালের দিকে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, নজিরবিহীন এই হামলায় ৩১ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে। 

এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, ডিনিপ্রো, খারকিভ, কিয়েভ, লভিভ, ওডেসা এবং জাপোরিঝজিয়া অঞ্চলে বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ১১০ টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে রাশিয়া। এগুলোর বেশিরভাগই গুলি করে ধ্বংস করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি