মুসাভির জানাযা পড়ালেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির সিনিয়র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়্যেদ রাজি মুসাভির জানাযা বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি। রাজি মুসাভি গত ২৫ ডিসেম্বর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের জয়নাবিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। খবর আল আরাবিয়া।

রাজি মুসাভি

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে খবরে বলা হয়, সর্বোচ্চ নেতা আলি খামেনি তার জানাযার নামাজে ইমামতি করেন এবং তার জন্য মহান প্রভুর দরবারে প্রার্থনা করেন। জানাযার আগে তিনি কফিনের পাশে বসে কোরআন তেলাওয়াত করেন। এ সময় সেখানে মুসাভির পরিবারের কয়েকজন সদস্য এবং আইআরজিসির প্রধান কমান্ডারসহ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

জানাযার পর তিনি জেনারেল মুসাভির পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের সার্বিক খোঁজ-খবর নেন। এ সময় তিনি রাজি মুসাভির পরিবারের সদস্যদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে বলেন, সাইয়্যেদ মুসাভি সৌভাগ্যবান। সারা জীবনের কঠোর চেষ্টা-সংগ্রামের পর তিনি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছ থেকে পুরস্কার হিসেবে শাহাদাত লাভ করেছেন। এই সওয়াবের অংশীদার আপনারাও।

জানাযা পড়ান আলি খামেনি সাইয়েদ

আইআরজিসির ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়্যেদ রাজি মুসাভি সোমবার সন্ধ্যায় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের জয়নাবিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন। তেহরান নিয়ে যাওয়ার আগে তার মরদেহ সিরিয়া থেকে ইরাকের পবিত্র শহর নাজাফে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তেহরানে আনা হয়।

এদিকে ইরানের পক্ষ থেকে রাজি মুসাভিকে হত্যার পেছনে ইসরায়েলি হামলাকে দায়ী করলেও ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে তিনি বলেন, দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, সিরিয়ায় ২০১১ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে ইরান প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে সমর্থন দেয়। সে সময় থেকেই ইসরায়েলে সিরিয়ায় ইরানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট স্থাপনাসহ সব কিছুকেই হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে ইসরায়েল।