ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ১০১ সাংবাদিক নিহত

গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) পর্যন্ত অন্তত ১০১ সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস আজ রবিবার এ তথ্য প্রকাশ করেছে। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।

অফিসের গাড়িকেই বাড়ি বানিয়ে গাজার রাফাহ সীমান্তে দায়িত্বরত এক সাংবাদিক

সর্বশেষ শনিবার গাজা শহরের পূর্বে শুজাইয়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক মুহাম্মাদ আবু হায়েদি। এদিন ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও নিহত হয়েছেন আল রাই বার্তা সংস্থার ডেপুটি পরিচালক আহমাদ জামাল আল মাধুন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের নৃশংস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোহাম্মদ আবু হায়েদির শহীদ হওয়ার মধ্য দিয়ে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১০১ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে আল-জাজিরা আরবী টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যান সামির আবুদাকা রয়েছেন।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কেননা, ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরুর দিকে গাজায় প্রায় এক হাজার দেশি-বিদেশি সাংবাদিক কর্মরত ছিলেন।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় গত সোয়া দুই মাসে ৫০ টিরও বেশি মিডিয়া অফিস সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। কয়েকশত সাংবাদিক ও তাদের পরিবার ঘরবাড়ি থেকে উৎখাত হয়েছে।

ফিলিস্তিনি সাংবাদিকরা বলেছেন, ইসরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে সাংবাদিকদের টার্গেট করছে। ইসরায়েলি সেনারা অনেক সময় ফোন করে সাংবাদিকদের হুমকি দিয়েছে, বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হবে হুমকি দিয়ে সরে যেতে বলেছে।

যুদ্ধ এলাকায় কর্মরত সাংবাদিকরা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের অধীনে সুরক্ষিত, কিন্তু ইসরায়েল বারবার আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

এ ব্যাপারে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অফ জার্নালিস্টের ডেপুটি জেনারেল সেক্রেটারি টিম ডাউসন বলেন, সাংবাদিক হত্যার এমন ভয়ঙ্কর, সংখ্যা এড়িয়ে যাওয়া অসম্ভব। আমি মনে করতে পারছি না, বিশ্বের ইতিহাসে অন্য কোনো যুদ্ধে এতসংখ্যক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।