লাভরভ: তিউনিসিয়ায় আরও শস্য পাঠাতে প্রস্তুত রাশিয়া

রাশিয়া তিউনিসিয়ায় আরও শস্য সরবরাহ করতে প্রস্তুত আছে বলে জানিয়েছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। ২১ ডিসেম্বর, বৃহস্পতিবার উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি সফরকালে এ কথা বলেছেন তিনি।

সের্গেই লাভরভ

বৃহস্পতিবার রাজধানী তিউনিসে দেশটির প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের সঙ্গে এক বৈঠকে লাভরভ বলেছেন, রাশিয়ার ফসলের ফলন টানা দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বছরেও ভালো হয়েছে। আমরা তিউনিসিয়াকে সাহায্য করতে ইচ্ছুক। 

শস্য পাঠানোর খরচ বা শর্তের কথা উল্লেখ না করে লাভরভ বলেছেন, ‘আমাদের শস্যের সরবরাহ বাড়ানোর আগ্রহ আছে। আমরা এটা করতে প্রস্তুত।' 

গত ৪ বছর ধরে তিউনিসিয়ায় খরা চলছে। ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদন কম হচ্ছে। এছাড়া উত্তর আফ্রিকার দেশটি প্রায় একচেটিয়াভাবে খাদ্যশস্যের আমদানির উপর নির্ভরশীল। দেশটিতে ২০২৪ সালের বসন্ত পর্যন্ত গম এবং বার্লির তীব্র প্রয়োজন রয়েছে। তবে খাদ্য আমদানির জন্য তিউনিসিয়ার নগদ অর্থেরও অভাব রয়েছে। 

তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নাবিল আম্মারের সঙ্গে বৈঠকের পর লাভরভ বলেছেন, ‘আমরা সব ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা বাড়াতে সম্মত হয়েছি।'  তিনি কৃষি, জ্বালানি, পারমাণবিক শক্তি এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেছেন।  

লাভরভ ২০১৯ সালে সর্বশেষ তিউনিসিয়া সফর করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, মস্কো তিউনিসিয়ার প্রধান অংশীদারদের প্রতিস্থাপন করতে চায় না। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি ইঙ্গিত করে এই মন্তব্য করেছেন। এগুলো তিউনিসিয়ার প্রধান ব্যবসায়িক অংশীদার এবং সহায়তা প্রদানকারী দেশ।  

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘রাশিয়া কখনই অন্যদের প্রতিহত করার লক্ষ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চায় না। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের পশ্চিমা সহযোগীদের অন্যদের বিপক্ষে বন্ধুত্ব করার প্রবণতা রয়েছে।' 

এদিকে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে রাশিয়ার সঙ্গে দেশটির ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরেছে। 

উল্লেখ্য, গত গ্রীষ্মে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, রাশিয়া ছয়টি আফ্রিকান দেশ- মালি, বুরকিনা ফাসো, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ইরিত্রিয়া, জিম্বাবুয়ে এবং সোমালিয়ায় বিনামূল্যে শস্য সরবরাহ করবে। কারণ তিনি আফ্রিকা মহাদেশে তার সমর্থন বাড়াতে চাইছেন।

সূত্র: এএফপি