পুতিন: আমরা যা প্রয়োজন মনে করি, তাই করি

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, মস্কো তার প্রায় পুরো কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রাগার আধুনিকায়ন করেছে। বিশ্বের নতুন সামরিক-রাজনৈতিক ঝুঁকির উত্থানের মধ্যে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে রাশিয়ার আকাশ, সমুদ্র ও স্থল বাহিনীর পারমাণবিক কার্যক্রম উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর ব্লমবার্গ।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন

পুতিন বলেন, আমরা যা প্রয়োজন মনে করি, তাই করি। এরই অংশ হিসেবে রাশিয়ার সবগুলো বাহিনীতেই পারমাণবিক অস্ত্রের আধুনিকায়ন হচ্ছে। তার পারমাণবিক সেক্টরগুলোতে ৯৫ শতাংশ আধুনিক অস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যদিকে নৌবাহিনীতে প্রায় শতভাগ আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ইউক্রেনে তার বাহিনী সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছে। সেখানে ইউক্রেন ভারী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে এবং তার রিজার্ভ নষ্ট করছে। কিয়েভ রাশিয়ার সঙ্গে যে কোনো চুক্তি করার চেষ্টা করছে- এমন খবরের জবাবে তিনি মন্তব্য করেন, এক্ষেত্রে রাশিয়া তার নিজ স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে এগিয়ে যাবে।

রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র

যুক্তরাষ্ট্র তার নিজস্ব স্বার্থে ইউরোপকে শোষণ করছে বলে দাবি করে পুতিন বলেন, রাশিয়া ইউরোপের বিরুদ্ধে কোনও যুদ্ধের পরিকল্পনা করেনি। ন্যাটোর কোনো দেশের সঙ্গে লড়াইয়ের চিন্তা আমাদের আগেও ছিল না, এখনও নেই। আমরা বরং তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী।

ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ ইস্যুতে তিনি বলেন, এটি রাশিয়ার কাছে আগামী ১০ বছরে গ্রহণযোগ্য নয়, ২০ বছরেও হবে না।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালাতে শুরু করে রাশিয়া। শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব ইউক্রেনকে অস্ত্র ও মানবিক সহায়তা করে আসছিল। তবে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে আগ্রহে ভাটা পড়তে থাকে। এর ওপর গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাস যুদ্ধ শুরু হলে ইউক্রেনে দেয়া সহায়তার পরিমাণ অনেকটাই কমে আসে। ফলে রাশিয়ার মোকাবেলায় বিপাকে পড়ে যায় জেলেনস্কির দেশ।