সাকিবের ঘূর্ণিতে বেসামাল নিউজিল্যান্ড

চার উইকেটে ২৫২ রান করে ফেলেছিলো নিউজিল্যান্ড। এরপরই তামিম বল তুলে দিলেন সাকিবের হাতে। এবার সাকিব বোলিংয়ে আসেন ৬২তম ওভারে। তার আগে তিনি ৩৫তম ওভারে বোলিং করেছিলেন।

বোলিংয়ে ফিরেই নিজের চতুর্থ বলে মিচেল স্যান্টনারকে ফেরান সাকিব। পরের ওভারে তুলে নেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান বিজে ওয়াটলিং ও ডি গ্রান্ডহোমের উইকেট।

সাকিব স্যান্টনারকে ফেরান এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে। স্যান্টনার অবশ্য রিভিউর আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাতেও বাঁচতে পারেননি এই অলরাউন্ডার।

ওয়াটলিং শিকার হন সাকিবের অন্যতম ‘নির্মম’ ডেলিভারির। বলটা খুব একটা ঘুরেনি। কাট করার ইচ্ছে ছিলো ওয়াটলিংয়ের। কিন্তু লাইন মিস করেন তিনি। বল লাগে সোজা স্ট্যাম্পে। তার আউটের মাধ্যমে ষষ্ট উইকেট হারায় কিউইরা।

নয় বলের মধ্যে সাকিব তুলে নেন তার তৃতীয় উইকেট। এবারের শিকারের নাম ডি গ্রান্ডহোম। এই পেসার কাভারে ডাইভ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আবারও নন-টার্নিং বলে ব্যাটসম্যানকে বোকা বানান বাংলাদেশের এক নম্বর অলরাউন্ডার।

২৫২ রানে চার উইকেট থেকে ২৫৬ রানে সাত উইকেটে পরিণত হয় স্বাগতিকরা। এর আগে কিউইদের প্রথম চার উইকেটের দুটি নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। একটি করে উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ।

এ দিকে সাকিবের হঠাৎ জ্বলে উঠার পরপরই শুরু হয় বৃষ্টির উৎপাত। শেষ বিকেলের বৃষ্টির পর আর খেলা শুরু করা সম্ভব ছিলো না। ফলে নিউজিল্যান্ডের রান যখন ২৬০, সাত উইকেট হারিয়ে, তখনই দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেন আম্পায়াররা।

কিউইদের হয়ে এই ইনিংসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান রস টেলরের। ৭৭ রান করে মিরাজের বলে আউট হয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ৬৮ রান করেছেন টম ল্যাথাম। ৫৬ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন নিকোলাস। অন্য দিকে তিন উইকেট নিতে সাকিব খরচ করেছেন মোটে ৩২ রান। দ্বিতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের চেয়ে এখনো বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ২৯ রানে।

পেসারদের দারুণ দাপটে আজ দিন শুরু করে বাংলাদেশ। ৪৫ রানে প্রথম উইকেট হারানো কিইউরা দুই রান পরেই হারায় তাদের দ্বিতীয় উইকেট। কামরুল ইসলাম তুলে নেন উভয়টি। 

এরপর রুবেল হোসেন ও তাসকিনও দারুণভাবে চমকে দেন কিউইদের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশি পেসররাও যে কন্ডিশনের সহায়তা পেলে ভয়ানক হয়ে উঠতে পারেন, তারই যেনো প্রমাণ হয়ে আসে আজকের দিনটি। তবে দিনটা শেষ হলো সাকিবের ঘূর্ণিতে বেসামাল কিউইদের দেখে!